Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সখিপুরে ১০ বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার ঃ অভিযুক্তরা পলাতক

সখিপুর(টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৯, ৩:৩০ পিএম

টাঙ্গাইলের সখিপুরে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ নাজমুল ইসলাম (৩৫) এর বিরুদ্ধে ১০ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের বেতুয়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত হাফেজ নাজমুল ইসলাম ও মদদদাতা ওই মসজিদের ঈমাম হাফেজ আজিজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে ২৩ আগস্ট শুক্রবার রাতে ওই মসজিদের সভাপতি মো. ওয়াদুদ হোসেন বাদী হয়ে হাফেজ নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারেরর অভিযোগে সখিপুর থানায় মামলা করেছে। শনিবার সকালে বলাৎকারের শিকার ও শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ছাত্র অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বলাৎকারের শিকার ওই ছাত্রের বাবা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। জানা যায়,উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের বেতুয়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ ও হাফেজিয়া মাদরাসায় মুয়াজ্জিন ও মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার রায়থুরা গ্রামের ওসমান গণির ছেলে হাফেজ নাজমুল ইসলাম (৩৫)। গত ৮ আগস্ট রাতে খাবার শেষে ফুলবাড়িয়া উজানপাড়া এলাকার ১০ বছরের ওই শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে রাতে ঘুমাতে যায় হাফেজ নাজমুল ইসলাম। এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে ওই শিশু শিক্ষার্থীর মুখ বেঁধে জোরপূর্বক বলাৎকার করে হাফেজ নাজমুল ইসলাম। ওই শিক্ষার্থীকে এ ঘটনা প্রকাশ করলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ১০ আগস্ট সকালে ওই মসজিদের সভাপতি ওয়াদুদ হোসেনের কাছে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়।

ঈদের নামাজ শেষে ঘটনার মদদদাতা মসজিদের ঈমাম হাফেজ আজিজুল ইসলামও কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি তার সহপাঠি ও পরিবারের লোকজনের কাছে বলাৎকারের ঘটনা খুলে বললে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত ২৩ আগস্ট ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি সখিপুর উপজেলা আ.লীগ সদস্য মো. ওয়াদুদ হোসেন বাদী হয়ে এ ব্যাপারে সখিপুর থানায় মামলা দায়ের করে।

এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও মামলার বাদী মো. ওয়াদুদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা,সখিপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন- শিশু বলাৎকারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বলাৎকারের শিকার শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ