গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আজ ২৩ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে রোহিঙ্গা বিষয়ে ছবি নিয়ে মোঃ সানাউল হকের একক ‘রোহিঙ্গা আলোকচিত্র’ শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীর উদ্ভোধন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মানিত সভাপতি ও যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, সাথে ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, কবি হেলাল হাফিজ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক সৈয়দ মেসবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীসহ অনেকেই। উদ্ভোধন শেষে অতিথিগণ প্রদর্শনীর ছবিগুলো ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীসহ অনেকেই।
প্রধান অতিথির বত্তব্যে সাইফুল আলম বলেন, ছবিগুলোতে রোহিঙ্গাদের সেই সময়ের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে, তারা যে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছে তার বাস্তব চিত্র এই ছবিগুলো। আমরা চাই রোহিঙ্গারা সসম্মানে নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের দেশে ফিরে যাক। বর্তমান সরকার তাদের সসম্মানে তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে বার বার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখনো তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। সরকার তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের সব চেষ্টাই করে যাচ্ছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন বলেন, ছবিগুলো অসহায় রোহিঙ্গাদের জীবনের কথা বলে। এই ছবিগুলো আন্তর্জাতিক বিবেককে নাড়া দেয়। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বহন করে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছেন। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়াতে হবে। তারা যেন নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করার জন্য বিশেষভাবে আবেদন জানাচ্ছি।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরি বলেন, সানাউর হকের এ আলোকচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রমাণ করে এ দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাারা অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। আমরা চাই সরকার আন্তর্জাতিক কুটনীতির মাধ্যমে রোিিহঙ্গাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করে যেন তাদের ফেরত পাঠায়। তাদের যেন আবার সেই মৃত্যুকুপে ঠেলে না দেয়। আমরা চাই দ্রুত কুটনীতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে তাদের নিজ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। কিন্ত বর্তমানে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের কারণে বহুবিদ সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে কক্সবাজার-টেকনাফসহ রোহিঙ্গাদের অবস্থান করা এলাকায় আরো অশান্তি ও অরাজকতা সৃষ্টি হবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতা শুরু করলে পরবর্তী কয়েকদিনে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সেই সময় ও পরবর্তী সময়ে রোহিঙ্গাদের উপর সানাউল হক এর তোলা ১০০ ছবি নিয়ে এই “রোহিঙ্গা আলোকচিত্র” শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। রোহিঙ্গাদে উদ্বাস্তু জীবনচিত্র নিয়ে সানাউল হক “রোহিঙ্গা আলোকচিত্র” র্শীষক বই প্রকাশ করেছেন। প্রকাশিত বই এর ছবিগুলো নিয়েই এই প্রদর্শনীর আয়োজন। জাতিসংঘ ঘোষিত ইতিহাসের বর্বরোচিত এই মানবিক বিপর্যয়ের দুঃখজনক ঘটনার ছবিগুলো ঐতিহাসিক তথ্য দলিল হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে।
এ ছাড়্ওা প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোাসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম মহসিন, সিনিয়র ফটো সাংবাদিক কাজী রওনক হোসেন,আবু তাহের খোকন,এমরান হোসেন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোাসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।