মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘ভারত জম্মু ও কাশ্মীরে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়ায়’ মার্কিন পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির র্যাঙ্কিং সদস্য সিনেটর বব মেনেন্দেজ এবং হাউস পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেস সদস্য এলিয়ট এল এঙ্গেল একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন। এদিকে, মার্কিন হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম স্মিথ ও কংগ্রেসওম্যান যুভেট্টে ক্লার্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম স্মিথ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে জানান যে, তারা অধিষ্ঠিত জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন।’ স্মিথ ভারতের রাষ্ট্রদূতকে, ‘চলমান যোগাযোগের ব্ল্যাকআউট, অঞ্চলটির সামরিকীকরণ বৃদ্ধি এবং কারফিউ প্রয়োগের বিষয়ে বৈধ উদ্বেগ’ এর কথা জানান। ওয়াশিংটনের ডেমোক্র্যাট স্মিথ জানান যে, তার নির্বাচনী অঞ্চলে জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু বাসিন্দা ছিল এবং তারা ৫ আগস্টের পরে অঞ্চলটিতে পরিদর্শন করেন।
‘তারা অঞ্চলটিকে অবরুদ্ধ, বাসিন্দারা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখে। অঞ্চলটির বাইরের অংশে যোগাযোগের কোনো সুযোগই নাই’ বলে জানান মার্কিন এই সাংসদ। তিনি ভারতকে মনে করিয়ে দেন যে, ‘এই অঞ্চলের মুসলিম জনসংখ্যা এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠী- বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে- এই সিদ্ধান্তের দ্বারা সৃষ্ট সম্ভাব্য বৈষম্যের প্রভাব স্বীকার করা অপরিহার্য।’
এদিকে, সিনেটর বব মেনেন্দেজ এবং এলিয়ট এল এঙ্গেল যৌথ বিবৃতিতে নয়াদিল্লিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে, ভারত তার সমস্ত নাগরিকদের পক্ষে সমাবেশের স্বাধীনতা, তথ্য অ্যাক্সেস এবং আইনের আওতায় সমান সুরক্ষাসহ সমান অধিকার সংরক্ষণ এবং প্রচারের গুরুত্ব প্রদর্শন করার সুযোগ পেয়েছে।’
মার্কিন সাংসদরা ভারত সরকারকে মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের ম‚ল ভিত্তির প্রতিনিধিত্ব করে। এবং আমরা আশা করি যে, ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে এই নীতিগুলো মেনে চলবে।’
নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান যুভেট্টে ক্লার্ক কাশ্মীরে এখন যা ঘটছে সে সম্পর্কে তার আওয়াজ তুলে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে যা করছেন, তা করার কোনো অধিকার মোদির নেই। ন্যায়বিচারের জন্য আওয়াজ, স্বশাসনের জন্য এবং ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যহীনতার বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ তোলা আমাদের দায়িত্ব, তা এখন আমাদের ওপর নির্ভর করে। প্রধানমন্ত্রী মোদির আরও ভালো জানা উচিত, আমাদের সবাইকে আওয়াজ তুলতে হবে।’ তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে যখন ওয়াশিংটনে ফিরে যাওয়ার সময় হবে তখন মার্কিন কংগ্রেসকে মোকাবিলার জন্য এই বিষয়টি সামনে আসবে এবং একে কেন্দ্র করে আমরা সরাসরিভাবে মোকাবেলা করব।
বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন এই বিবৃতিতে মন্তব্য করতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখে যে, সহিষ্ণুতা দেখানোর পরিবর্তে ভারত বিপরীত কাজ করেছে। তারা বলে, ‘কাশ্মীরিদের সাথে ভারতের চেয়ে কারও খারাপ আচরণ করা সম্ভব না- যেমন সমাবেশের স্বাধীনতা, তথ্য অ্যাক্সেস এবং আইনের আওতায় সমান সুরক্ষাসহ কিছুই নেই।’ ফোর্বস বলছে, ‘ভারত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার আগে কাশ্মীর সংসদের সঙ্গে পরামর্শ করেনি। কাশ্মীরিদের রাজনৈতিকভাবে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ দেয়নি তারা। শুধুমাত্র অসাংবিধানিকভাবেই এটা কেড়ে নেওয়া হয়নি, কাশ্মীরীদের আইনানুগ ব্যবস্থার বিষয়ে পরামর্শের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। ভারত কাশ্মীরকে স্বাধীন রাজ্য থেকে একটি ফেডারেল ভূখণ্ডে পরিণত করেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।