নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সকালে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচ চার্ল লেঙ্গাভেল্টও। খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানের সঙ্গে আলোচনা শেষে ল্যাঙ্গাভেল্ট আসেন সংবাদ সম্মেলনে। ডমিঙ্গোর মত তিনিও জানিয়েছেন মুস্তাফিজ-রুবেলদের নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা। এক্ষেত্রে তাকে যে ভাষার দূরত্বও ঘোচাতে হবে সেটাও স্পষ্ট করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিং কোচ।
টেকনিক্যাল বিষয়ে কাজ করার আগে পরিচিতিপর্ব এরপর খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন ও আস্থা অর্জন, খেলোয়াড়দের কাছে নিজের প্রত্যাশা, তার কাছে খেলোয়াড়দের প্রত্যাশা- এসব জানাবোঝার জন্য কেটে যাবে কিছু সময়। এর মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে ভাষা।
হঠাৎ ভাষার প্রসঙ্গ কেন? সেটা তো তাহলে ডমিঙ্গোর ক্ষেত্রেও প্রজোয্য। আসলে পেস বোলিং কোচের জন্য ভাষার প্রসংঙ্গ এসেছে পুরোনো অভিজ্ঞতা থেকেই। আগের কোচ কোর্টনি ওয়ালশের ক্যারিবীয় ইংরেজি নাকি ভালো বুঝতেন না বাংলাদেশী পেসাররা। উইন্ডিজ কিংবদন্তির অধীনে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ তেমন সাফল্য না পাওয়ার এটিও অন্যতম কারণ। এজন্য প্রশ্ন এসেই যাচ্ছেÑ ল্যাঙ্গাভেল্টের দক্ষিণ আফ্রিকান ইংরেজি বুঝবেন তো বাংলাদেশের পেসাররা?
ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হলেও একেক দেশে এর উচ্চারণ একেক রকম। তাই দক্ষিণ আফ্রিকান ইংরেজী বাংলাদেশের পেসাররা কতটা বুঝতে পারে এখন সেটাই দেখার বিষয়। তবে বাংলাদেশ দলের নতুন কোচের আশা ভাষাগত দূরত্ব ঘুচানোর কৌশল তার জানা আছে। এর আগে আফগানিস্তান দলের দায়িত্ব পালন করা এ ক্ষেত্রে নতুন কোচের অভিজ্ঞতা সহায়ক হবে মনে করছেন তিনি, ‘এই চ্যালেঞ্জটা আমার আফগানিস্তানেও ছিল। আমি দেখেছি দল হিসেবে কাজ করার চেয়ে যদি একজন একজন ধরে কাজ করেন, তখন খেলোয়াড় অনেক স্বচ্ছন্দবোধ করে। আমি জানি এটা কীভাবে সামলাতে হয়।’
ল্যাঙ্গাভেল্ট তাই বোলারদের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করতে চান। তাতেও কাজ না হলে অন্য কৌশল কাজে লাগাবেন সাবেক প্রটিয়া পেসার, ‘যদি তাতেও কাজ না হয় তৃতীয় কারও সহায়তা নেব। ধীরে কথা বলব। খুব দ্রæত বলব না। খেলোয়াড় কী বলতে চাইছে মনোযোগ দিয়ে শুনব। এভাবেই সম্পর্ক তৈরি করব। ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ এক্ষেত্রে শিষ্যদের সঙ্গে বন্ধুর মত মিশতে চান তিনি, ‘যদি কেউ পারিবারিক কথা বলতে চায় সেটিও বলবে। যেটিতে সে স্বচ্ছন্দবোধ করে। আমার দুয়ার সব বোলারের জন্য খোলা থাকবে। যদি অনুবাদকের দরকার হয় রাখব। জানি এটা চ্যালেঞ্জিং। এই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে আমি উন্মুখ।’
তার কাজের ক্ষেত্রটা কেমন হবে? সেটাও জানালেন ল্যাঙ্গাভেল্ট, তার শক্তির জায়গা সুইং নিয়েই কাজ করবেন, শিষ্যদের শেখাবেন সুইং। আর বোলিং বৈচিত্রের চাইতে বেশি গুরুত্ব দিলেন আক্রমণাত্মক লাইন ও লেংথের ওপর, ‘আমার শক্তি ছিল সুইং। এবং আমি আমার শিষ্যদের শেখাতে চেষ্টা করবো কি করে বল সুইং করাতে হয়। মনে রাখতে হবে সিম পজিশনই রিভার্স স্ইুংয়ের মূল মন্ত্র। আর যদি বল সুইং না করে সেক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক বোলিং করতে হবে। মানে সঠিক লাইন ও লেংথ বজায় রেখে ধারাবাহিক আক্রমণাত্মক বল ডেলিভারি দিয়ে যেতে হবে।’
সুইংয়ের পাশিাপাশি এসময় পেস বোলিংয়ের আরও কয়েকটি ইউনিট নিয়ে কথা বলেন টাইগার নবনিযুক্ত এই পেস বোলিং কোচ। ইয়োর্কার লেংথকে বলা হয়ে থাকে পেস বোলারদের শক্তির অন্যতম উৎস। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজেও দেখা গেছে লঙ্কান পেসারদের ইয়োর্কারে কী ভয়ংকরভাবে পরাস্ত হয়েছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের কোনো পেসারই এই অস্ত্রের ব্যবহার তেমন জানেন না।
এর কারণ উল্লেখ করেন ল্যাঙ্গাভেল্ট, ‘ইয়োর্কার একটি গো টু বল হতে পারে যদি কোনো বোলার ভাল ইয়োর্কার দিতে পারে। এই বলটা কারো স্টক বল মানে ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করতে বড় অস্ত্র হতে পারে। তবে এটাও ঠিক যদি ইয়োর্কার ঠিক মতো না হয় তাহলে ওই বোলার ৬ খেয়ে যেতে পারে। তাই এটা রপ্ত করতে আপনাকে অনুশীলনের বাইরেও অনুশীলন করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিদিন বোলিং অনুশীলনের পরেও আপনাকে ২০টি বল করতে হবে।’
আর কার্যকর বাউন্সার ডেলিভারির ক্ষেত্রে বোলারদের উচ্চতাকেও তুলে ধরলেন সবার ওপরে। ‘যদি কোন বোলার পর্যাপ্ত লম্বা না হয় তা হলে এই ডেলিভারিটি দেওয়া কঠিন। তাসকিনের কথাই ধরুন না। যদি সে চোটাক্রান্ত না হয় তাহলে অবশ্যই সে এক্সট্রা বাউন্সার পেতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।