দেশ রসাতলে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এখন আর হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দেশকে ভোটারবিহীন অবৈধ বাকশালী অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে বাঁচাতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশটাকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আন্দোলন ছাড়া মুক্তির আর কোনও পথ খোলা নেই।

রোববার (২৬ মে) বাংলামোটরে একটি হোটেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তথাকথিত বিচারের নামে বর্তমান সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতার মসনদকে চিরস্থায়ী করতে চাইছে। কিন্তু এ কথাটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে- এদেশের জনগণ স্বৈরাচারকে কোনও দিন আপন করে নেয়নি। বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে দেয়নি।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। জীবনে যতগুলো নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সব নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। তাঁকে মুক্ত করার অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করা।

দুদু বলেন, দেশে অব্যবস্থাপনার মূল কারণ জবাবদিহিতা না থাকা। গত সংসদ নির্বাচনে ভোটের নামে যে প্রহসন-তামাশা হয়েছে তার জন্যে দেশ আজ রসাতলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। গ্রামে গ্রামে যুদ্ধ করেছেন এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির এবং গতিশীলতার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁকে জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। এসময় তিনি বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

বিআইডব্লিউটিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি নিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস কে সাদি ও মাইনুল ইসলাম প্রমূখ।