পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মান সম্মান নিয়ে বিদায় নিতে চাইলে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদু। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মান সম্মান নিয়ে বিদায় হতে চাইলে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন। একটি কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। এই সরকার বাতিল করে অনতিবিলম্বে দেশে আরেকটি নির্বাচন দিন। একবার যদি দেশের জনগণ রাস্তায় নেমে আসে তাহলে এই সরকার, সরকারের দল কেউ রেহাই পাবে না।
শনিবার (২২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী চালক দলের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে এখন কোনও গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্রের কথা বললেই যেন অপরাধ হয়। গণতন্ত্রের কথা বললেই মামলা হয়, কারাগারে যেতে হয়। দেশে ভোটার অধিকার নেই। ভোটের অধিকারের কথা বললেই ১ থেকে ১০০টি মামলা হয়।
তিনি বলেন, অদ্ভুত ব্যাপার- যে দেশে স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। সেই গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা এখন নাই। এখানে একটি কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী, অবৈধ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলন করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই দেশে কেয়ারটেকার সরকারের আইন সংসদে পাস করেছিলেন। তিনি একমাত্র নেত্রী যিনি মানুষের অধিকারের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আইন পাশ করেছেন। সেই নেত্রীকে একেবারে মিথ্যা মামলায় প্রায় ১৭ মাস ধরে কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে। এই মানববন্ধন থেকে তাকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়া হোক।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গত ৬ মাস আগে এই দেশে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ তারিখ রাতে হয়েছে। এই নির্বাচন আমেরিকা মনে নাই, ব্রিটেনের মানে নাই, জাতিসংঘ মানে নাই। এই দেশের যে পরাশক্তি দলগুলো আছে তারা মানে নাই। অথচ এই অবৈধ সরকার ২৯ তারিখের অবৈধ নির্বাচনের কথা বলে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। আমি সরকারকে বলবো অনতিবিলম্বে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে নতুন করে নির্বাচন দেওয়া হোক।’
সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরের সভাপতিত্বে ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও কৃষক দলের সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, কৃষক দলের সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, আজম খান, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক তালুকদার, সহ-সভাপতি শাফিন আহমেদ লিখুন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।