বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজের বিবরণী উল্লেখ করে প্রতিটি বাঁধের প্রকল্প এলাকায় জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে সাইনবোর্ড টানানোর দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয় কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিমুল কুমার সাহার মাধ্যমে স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে কয়রা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ১৮-১৯ ও ১৯-২০ অর্থবছরের ডিপিএমভুক্ত ১৮টি ঝুঁকিপূর্ণ স্পটে ৪ হাজার ৩০৫ মিটার বেড়িবাঁধের জন্য সাড়ে ৪ কোটি টাকার মত কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়া ১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব খাতেও সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ১৭টি কাজের কিছু কাজ সমাপ্ত হয়েছে। কিছু কাজ চলমান রয়েছে। তবে একটি কাজেও প্রকল্প এলাকায় কাজের বিবরণী উল্লেখ করে কোনো সাইনবোর্ড প্রদর্শন করা হচ্ছে না। ফলে এলাকার সচেতন মানুষ ও সাধারণ জনগণ বাঁধ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতে পারছে না। তাই এ জনপদের মানুষের দাবি, বেড়িবাঁধের কাজে স্বচ্ছতা আনতে ও সাধারণ মানুষকে অবগত করতে বাঁধ এলাকায় কাজের বিবরণী, প্রকল্পের মেয়াদ, বাঁধের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও কত টাকার কাজ উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লাগানো একান্ত প্রয়োজন। স্মারকলিপি দেয়ার পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমানে কয়রা উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আংটিহারা, খাসিটানা, জোড়শিং, মাটিয়াভাঙ্গা, গাতিরঘেরি, গাববুনিয়া, গাজিপাড়া, কাটকাটা, ৬ নম্বর কয়রা, ৪ নম্বর কয়রার পুরাতন লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালি, হরিণখোলা, মঠবাড়ি, দশালিয়া, লোকা, কালিবাড়ি, নয়ানি, শেখেরটেক এলাকাসহ ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হলে আবারও বাঁধ ভেঙে গোটা উপজেলা লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।