পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনার দাকোপের চালনা পৌরসভার খলিশা সøুইচ গেটের দক্ষিণ পাশে ২৫০ মিটার পাউবোর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পশুর নদীর পানির তীব্র চাপে বাঁধটি হঠাৎ ৩ ফুট ধ্বসে যাওয়ায় পৌরবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁধটির পাশ দিয়ে দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মাণ না করা হলে যে কোন মুহূর্তে পশুর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গোটা পৌরসভা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ এ নদী ভাঙনের পাশে বসবাসকারী অনেকে তাদের ঘরবাড়ি ও স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চালনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বড় খলিশা গ্রামে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাউবোর ২৫০ মিটার (সিসি ব্লক) বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাঁটল ও বাঁধটি ৩ ফুট ধ্বসে গেছে। এ বাঁধটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় পৌরবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বাঁধটি নদীগর্ভে বিলীন হলে চালনা পৌরসভার ৯টি গ্রামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি স্কুল কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কয়েক হাজার বসতঘর বাড়ি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, পানির চাপে চালনা পৌরসভার গোড়কাঠি, খলিশাসহ পানখালী ইউনিয়নর খোনা, পানখালী ফেরিঘাটের পূর্ব পাশে, পানখালী জাবেরের খেয়াঘাটের পাশে, লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথা, তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া, ঝালবুনিয়া, কামিনী বাসিয়া গ্রামে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
চালনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শুভংকর রায় বলেন, খলিশা সøুইচ গেটের দক্ষিণ পাশে কয়েকদিন পূর্বে ৫০ মিটার এলাকা নিয়ে ফাটল দেখা দেয়। তা সংস্কারের জন্য পাউবো কর্তৃপক্ষ সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু ঠিকাদাররা ওই স্থানে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু না করায় হঠাৎ বিশাল এলাকা নিয়ে বাঁধটি ফাটল দেখা দিয়েছে।
চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি গতকাল শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গত বৃহস্পতিবার রাতে খলিশা গ্রামের সøুইচ গেটের দক্ষিণ পাশে সিসি ব্লক পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ বাঁধটি ভয়াবহ ফাটল ও হঠাৎ ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট ধ্বসে যায়। এ বাঁধটির পাশ দিয়ে যদি দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করা না হয় তাহলে পশুর নদীগর্ভে যে কোন মুহূর্তে বাঁধটি বিলীন হয়ে গোটা পৌরসভা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস বলেন, খলিশা গ্রামের বাঁধটিতে ভয়াবহ ফাটল ও বাঁধটি হঠাৎ করে ধ্বসে যাওয়ায় দ্রুত সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।