পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে পৃথক দুটি বন্দুক হামলায় চারজন নিহত এবং আরো ছয়জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে তারা সন্ত্রাসী হামলা বলেও উল্লেখ করেছে। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইসরাইলের দাবি, দুই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী এই হামলা চালিয়েছে। তারা এসেছে পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের ইত্তা গ্রাম থেকে। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এরইমধ্যে হামলাকারীদের আটকের পর হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছে তেল আবিব কর্তৃপক্ষ। এদের একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি নিশ্চিত করে বলেছে, মধ্য তেল আবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সামরিক সদর দফতরের কাছেই রয়েছে একটি খোলা বাজার ও রেস্টুরেন্ট এলাকা। স্থানীয় সময় ৯টা ৩০মিনিটের দিকে সেখানেই হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। তখন ব্যস্ততম ওই এলাকার বার ও রেস্টুরেন্টগুলোতে মানুষ অবসর কাটাচ্ছিল। তখন সেখানে প্রচুর জনসমাগম ছিল বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার সময় ভীত মানুষেরা পালাতে চেষ্টা করছেন। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতেও দেখা গেছে। ভিডিও ফুটেজে হামলার সময় একটি রেস্টুরেন্টের চেয়ার-টেবিলগুলোকে কেঁপে উঠতেও দেখা যায়। হামলাস্থলে সন্তানের জন্মদিন পালন করতে আসা এক মা স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, হামলার সঙ্গে সঙ্গেই আমি বুঝতে পেরেছি এটা একটা সন্ত্রাসী হামলা। কিছু না বুঝেই আমরা দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেছি। ইসরাইলি পুলিশ প্রধান চিকো এগ্রি বলছেন, এটি একটি ভয়াবহ হামলা। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, দুই হামলাকারীকে ধরার পর তৃতীয় কোনও হামলাকারী এখন আর ঘটনাস্থলে নেই। উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই ইসরাইলি আগ্রাসনের ব্যাপকতার বিপরীতে ফিলিস্তিনিদের হামলার প্রবণতা বেড়েছে। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, গত বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে তেলআবিবের সারোনা মার্কেটের দুটি পৃথক স্থানে বন্দুক হামলার ঘটনা দুটি ঘটে। হামলায় চারজন গুরুতর আহত হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত বুধবার রাতের ওই বন্দুক হামলার পরপরই এক নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। এছাড়া তিনি সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি তেলআবিব হামলাকে জঘন্য অপরাধ, খুন ও সন্ত্রাসবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিবিসি, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।