পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগামী সোমবার (১৯ আগস্ট) দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকা আসছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর এস জয়শঙ্করের এটাই হবে প্রথম ঢাকা সফর।
সূত্র জানায়, আসন্ন সফরে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন কোনো সমাঝোতা স্মারক বা চুক্তি সই হবে না। তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আলাপ করবেন। ঢাকা সফর শেষে আগামী ২১ আগস্ট নয়াদিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্র জানায়।
সফরের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, এই সফরে নতুন কিছু সই হবে না। দুই মন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল বিষয় নিয়ে বৈঠক (ফরেন অফিস কনসালটেশন) হবে।
এর আগে, গত ২৯ জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগামী আগস্টে ঢাকা আসবেন। এটা হবে তার সৌজন্য সফর। তিনি বলেন, আমি পবিত্র হজপালন শেষে ১৭ আগস্ট ঢাকা আসব। এরপর তিনি আসবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রথম সাক্ষাৎ ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত ১৪ জুন তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে (পঞ্চম শীর্ষ সিকা সম্মেলনের ফাঁকে সাইড লাইনে। ওই সময় তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পরিণত সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করেছে।
ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রবেশদ্বার হিসেবে বাংলাদেশের অনন্য সম্ভাবনা ও ভূ-কৌশলগত সুবিধার কথা উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তখন আরও বলেন, বিমসটেককে শক্তিশালী করলে তা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। ভারত আঞ্চলিক সংযোগের ওপর সমধিক গুরুত্ব আরোপ করে থাকে।
উল্লেখ্য, ড. এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ভারতের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লিতে গত জানুয়ারিতে প্রথম বিদেশ সফর করেন। এর আগে, ২০১৪ সালে সুষমা স্বরাজ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর ওই বছরের ২৫ জুন প্রথম বিদেশ সফরে ঢাকায় আসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।