বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালের গৌরনদীতে আকাশ সরদার (১৬) নামে মাছেল পোনা বিক্রেতা এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত আকাশ উপজেলার বাঙ্গিলা গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যান চালক মানিক সরদারের ছেলে। গৌরনদী উপজেলা সদরের গোবর্দ্ধন গ্রামের বাদামতলা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শামছুল হক খানের বাড়ির ভারাটিয়া ছিল আকাশ।
পুলিশ এ হত্যাকান্ডের স্থান ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে না পারলেও জড়িত থাকার সন্দেহে ওই বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুর রহিম বেপারীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪০) ও তার মেয়ে সিমা (১৫)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আটক তাসলিমার স্বামীর বাড়ি যশোর জেলার শার্শা থানার নাভারন গ্রামে।
নিহত কিশোরের স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের ভাড়াটিয়া হত দরিদ্র রিকসাভ্যান চালক মানিক সরদারের ছেলে আকাশ সরদার তার খালাতো ভাই মহিন মোল্লা’র সাথে পার্শ্ববর্তি বাদামতলা রিকসা ষ্ট্যান্ডে যায়। সেখানে একটি চায়ের দোকানের সামনে দুই ভাই মিলে কিছুক্ষন আড্ডা দেয়ার পরে আকাশ মাহিন-এর কাছ থেকে কাজে যাবার কথা বলে বিদায় নেয়।
মহিন বাসায় ফিরে কিছুক্ষন কাটিয়ে আবার ওই রিকসা ষ্ট্যান্ডে গিয়ে একটি চায়ের দোকানের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে আকাশ উত্তর দিকের পাকা রাস্তা ধরে হেটে ওই রিকসা ষ্ট্যান্ডে এসে মাহিনকে ডেকে বলে ভাইয়া তুমি আমাকে ধরে একটু বাসায় নিয়ে যাও আমি বাসা চিনতে পারছিনা। মহিন এ সময় আকাশকে ধরার সাথে সাথেই সে তার গায়ে ঢলে পড়ে। মহিন তখন দেখে যে, আকাশের সাড়া শরীর কাদায় মাখা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন, মাথার পেছনের একটি বড় যখম থেকে রক্ত ঝড়ে তার সারা শরীর ভিজে যাচ্ছে। মহিন তাকে ধরে পাজাকোলা করে বাসায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে স্বজনরা দ্রুত গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন দ্রুত বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু রাত ১১টার দিকে মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক আকঅশকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত কিশোর আকাশের মা নাসিমা বেগম জানান, ‘তাদের একই বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া মালয়শিয়া প্রবাসী আব্দুর রহিম বেপারীর মেয়ে সিমা এলাকার কয়েকটি বখাটে ছেলেকে নিয়ে সম্প্রতি তার ঘরের ভেতরে দীর্ঘক্ষন আড্ডা দেয়। এ ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানায় আকাশ। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগরাঝাটি হয়। এক পর্যায়ে সিমা ও তার মা তাসলিমা বেগম আকাশকে সায়েস্তা করার হুমকি দেয়। ফলে এ হত্যাকান্ডের পেছনে তাদের হাত থাকতে পাওে’।
হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী থানার ওসি মোঃ গোলাম সরোয়ার জানান, পুলিশ নিহত কিশোরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যাকন্ডের স্থান ও হত্যাকারিদেরকে এখনও সনাক্ত করা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।