পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা সেতু নির্মাণের পাশাপাশি মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে মাওয়ায় চলছে জাদুঘরের কাজ। পদ্মা অববাহিকার বন্য ও জলজ প্রাণী নিয়ে গবেষণায় বড় ভূমিকা রাখবে এই সংগ্রহশালা বলে জানিয়েছেন প্রাণী জাদুঘরের অধ্যক্ষ আনন্দ কুমার দাস।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ প্রাণীবিজ্ঞানীর তত্ত¡াবধানে গড়ে উঠছে জাদুঘরটি। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে আগামী বছর। পদ্মা অববাহিকার জেলা শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মানিকগঞ্জ ও অঞ্চলের প্রাণী নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পদ্মা সেতু প্রাণী জাদুঘর। সেতু বিভাগের কাছে হস্তান্তরের পর পদ্মা সেতু প্রাণী জাদুঘর উন্মুক্ত হবে সর্বসাধারণের জন্য। জঙ্গল নয় তবে এখনে আছে বন দাপিয়ে বেড়ান সব প্রাণী। মগ ডালে বসে গ্রহর গুণছে হারিয়ে যাওয়া এক বাংলা শকুন। একটু পাশেই উঁকি দিচ্ছে হিমালয় শকুন। গন্ধগোকুল আড়মোড়া ভাঙছে সতর্কভাবে। গাছ থেকে গাছে উড়ে বেড়ানো প্যাঁচা, বাদুড়, চিলসহ শিকারী পাখিরা সংগ্রহও কম নয়। দেখা মিললো পরিচিত বানরেও। পদ্মা নদীতে পাওয়া শুকুকের হাড় দিয়ে সাজানো হচ্ছে কংকাল। চকচকে চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে শিয়াল। ঝোপঝাড়ের ধেরে ইঁদুর খাবার ছিনিয়ে নিতে প্রস্তুত। মৃত প্রাণীর চামড়া দিয়ে বানানো নমুনা দেখে জীবন্ত ভাবতে পারেন যে কেউ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নিয়ামুল নাসের জানান, পরবর্তী প্রজন্ম যখন এখানে আসবে, তখন দেখতে পাবে পদ্মা নদীর আশপাশে কি ছিলো।
প্রাণী জাদুঘরের অধ্যক্ষ আনন্দ কুমার দাস বলেন, কিছু প্রাণী আছে এই এলাকার তালিকাভুক্ত করা কিন্তু অত্যন্ত দুর্লভ বলে এখানে পাওয়া সম্ভব না। যার কারণে অন্য এলাকায় যখন যে প্রাণী মারা যাচ্ছে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বছর দুইয়েক আগে পদ্মায় ধরাপড়া প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ইলিশটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে কাঁচের বাক্সে। কাজুলি, উজুক্কু, শিং, আইড়সহ ৩১৬ প্রজাতির মাছের দেখা মিলছে এই জাদুঘরে। পদ্মার গলদা চিংড়ি, শামুক, ঝিনুক, ব্যাঙ সাপসহ এই অববাহিকার বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণি নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। মাছ শিকারের নানা উপকরণও সাজিয়ে রাখা হয়েছে থরে থরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।