Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় আ ন ম শফিককে শেষ বিদায়

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৯, ৬:০৫ পিএম

সিলেটবাসী শেষবারের মতো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বিদায় জানালো প্রিয় নেতা, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আ ন ম শফিকুল হককে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নামে জনতার ঢল। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত শফিকুল হকের মরদেহ রাখা হয় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে।

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আ ন ম শফিককে শেষ বিদায় জানান সিলেটের বিভিন্ন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনতা। মানুষের ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হন প্রয়াত আ ন ম শফিক। আওয়ামী লীগ, জাসদসহ সকল দল মতের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানান প্রবীন এই রাজনীতিককে।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক দুলাল, জাসদ সিলেট মহানগরের সভাপতি জাকির হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েবসহ জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, তাতী লীগ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতি, রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠন।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি নগরীর সোবহানীঘাটস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আ ন ম শফিকুল হক।

আ ন ম শফিক দীর্ঘদিন ধরে দূরারোগ্য ক্যান্সার রোগে ভূগছিলেন। এর আগে তিনি ভারতে গিয়ে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে এসেছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে সহ অসংখ্য আত্বীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শিক্ষকতা দিয়ে পেশা জীবন শুরু করেছিলেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীরগাঁওর আ ন ম শফিকুল হক। ছাত্রলীগ দিয়েই তার শুরু হয়েছিল রাজনীতিরপাঠ। তাই বেশিদিন আর শিক্ষকতা করা হয়নি। রাজনীতিতেই পুরোটা সঁপে দেন নিজেকে।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও তিনি জেলা আওয়ামী লীগের দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দু:সময়ে সিলেটে তিনি ছিলেন দু:সাহসী কান্ডারী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্যও তিনি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ