নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এমসিজির বাইরে তার ভাস্কর্যের নিচে ফুল, সিগারেটের প্যাকেট, বিয়ারের ক্যান, মাংসের পাইয়ের স্তুপ। এর সবই গত ক’দিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য রূপে অর্পণ করছেন ভক্তরা। যে যেভাবে পারছেন, শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তির প্রতি। যেখানে তার সেরা সব কীর্তি, ১ লাখ দর্শক ধারণক্ষমতার সেই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই (এমসিজি) আগামী ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয়ভাবে বিদায় জানানো হবে কদিন আগে অসীম শূন্যতায় পাড়ি জমানো এই অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনারকে। গতপরশু রাতে টুইট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভিক্টোরিয়া রাজ্যের সরকার প্রধান ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুস, ‘ওয়ার্নিকে বিদায় জানানোর জন্য ‘জি’-এর চেয়ে বেশি উপযুক্ত জায়গা বিশ্বে আর কোথাও নেই। এটা খুব বড় একটা অনুষ্ঠান হবে। এটা তার জীবনের উদযাপন হবে, যেমনটা হওয়া উচিত।’
ওয়ার্নের জন্ম, বেড়ে ওঠা, ক্রিকেটে পথচলার শুরু, সবই মেলবোর্নে। ক্যারিয়ারের একমাত্র হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমসিজিতেই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৯৪-৯৫ অ্যাশেজে। ২০০৬ সালে বক্সিং ডে টেস্টে এখানেই ক্যারিয়ারের ৭০০তম উইকেটটি নেন তিনি। ঘরের ছেলে বলেই কিনা মেলবোর্নের দর্শকও বড্ড ভালোবাসত শেন ওয়ার্নকে। মাঠের বাইরে ওয়ার্নের ভাস্কর্য সেটারই প্রমাণ দেয়। ওয়ার্নের অকালমৃত্যুর পর তার প্রতি ভিক্টোরিয়াবাসীর ভালোবাসার প্রমাণে রাজ্যের সরকার ঘোষণা দিয়েছে, এমসিজির বিখ্যাত দক্ষিণ দিকের ‘সাউদার্ন স্ট্যান্ড’ এখন থেকে পরিচিত হবে ‘দ্য এসকে ওয়ার্ন স্ট্যান্ড’ নামে। তাতেও যেন কিংবদন্তিকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়া হচ্ছিল না! এবার সোনার ছেলের শেষ বিদায়ের মঞ্চ সাজিয়ে ষোলকলা পূর্ণ করার ইচ্ছা মেলবোর্ন রাজ্যের।
১৯৬৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভিক্টোরিয়ার ফের্নট্রি গালিতে জন্ম নেওয়া ওয়ার্ন গত শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের কোহ সামুইয়ে নিজের বাগানবাড়িতে। মূল শহর সুরাট থানি থেকে ব্যাংকক হয়ে ওয়ার্নের লাশ মেলবোর্নের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।