নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
না ফেরার দেশে চলে গেলেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার হোসে লুইস ‘টাটা’ ব্রাউন। ৬২ বছর বয়সে নিজ দেশে লা প্লাতায় মারা গেছেন তিনি। গত কয়েক মাস ধরে অ্যালঝেইমারে ভুগছিলেন বিখ্যাত এই আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার। তার পরিবার জানায় সাবেক এই সেন্টার ব্যাক গত কয়েক দিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে ‘টাটা’ নামে খ্যাত ব্রাউন দেশের হয়ে প্রথম ও একমাত্র গোল করেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে। ৩-২ গোলে পশ্চিম জার্মানিকে হারাতে প্রথম গোলটি করেন তিনি। ম্যাচের শেষ দিকে তার কাঁধের হাড় সরে গেলেও বদলি হয়ে মাঠ ছাড়তে রাজি হননি ব্রাউন। তাতেই আর্জেন্টাইন ফুটবলের ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেয় তার নাম।
ব্রাউন তার ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় লা প্লাতার দল এস্তুদিয়েন্তেসের হয়ে খেলেন। কলম্বিয়ান দল অ্যাতলেতিকো ন্যাসিওনালে যাওয়ার আগে প্রায় ৩০০ ম্যাচ খেলেন সেখানে। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ দলে আচমকা জায়গা পাওয়ার আগে বোকা জুনিয়র্স ও দেপোর্তিভো এস্পানোলের হয়ে খেলেন তিনি।
দানিয়েল পাসারেয়ার ব্যাকআপ হিসেবে ওই দলে জায়গা পান ব্রাউন। কিন্তু একাদশে প্রথম পছন্দ ছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পথে প্রত্যেক ম্যাচ খেলেন। পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে তার বিখ্যাত গোলটি হয় ২৩ মিনিটে, একটি ফ্রি কিক থেকে উঁচুতে লাফানো হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৩৬ ম্যাচ খেলেন ব্রাউন ১৯৮৩, ১৯৮৭ ও ১৯৮৯ সালের কোপা আমেরিকায় খেলে ফুটবলকে বিদায় বলেন। বোকা জুনিয়র্সে কার্লোস বিলার্দোর অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ ছিলেন ব্রাউন। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে দলকে দ্বিতীয় স্থানে নেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।