পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার কারণেই মানুষের মনে ‘ঈদ-আনন্দ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আজকে সারাদেশের বেশিরভাগ এলাকা বন্যা কবলিত, ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে, ডেঙ্গু আতঙ্কে দেশের বেশিরভাগ মানুষ আতঙ্কিত। মানুষের মনে যে ঈদের আনন্দ, সেই ঈদের আনন্দ নেই। বিএনপির পরিবারের মধ্যেও ঈদের আনন্দ নেই। সরকারের অদক্ষতা, তাদের ব্যর্থতা, তাদের উদাসীনতার কারণে আজকে দেশের মানুষ সঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারছে না।
সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদের দিন দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর তিনি এসব কথা বলেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘অন্যায়ভাবে’ কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে অত্যন্ত ভরাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে স্বাধীনতা ঘোষক আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে এসেছি। যেহেতু আমাদের নেত্রী আমাদের পাশে নেই। অন্যায়ভাবে আমাদের নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। আমরা মনে করি, দেশে এজনগণের সরকার নেই বলে, জনগণের প্রতি এই সরকারের দায়বদ্ধতা নেই বলেই সকল ক্ষেত্রে অব্যবস্থা ও নৈরাজ্য চলছে। এই নৈরাজ্য-অব্যবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার, গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে।”
ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয় ও মহাসড়ক-সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টির পেছনে সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন খন্দকার মোশাররফ। ঈদের নামাজ ও কোরবানীর পর্ব শেষ করে বেলা ১২টায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে এসে পুস্পমাল্য অর্পন এবং ফাতেহা পাঠ করেন।
এ সময়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, নবী উল্লাহ, সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া শিঁশির, শায়রুল কবির খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতি বছর খালেদা জিয়া ঈদের দিন জিয়ার কবরে ফুল দিতেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা এই কর্মসূচিটি চালিয়ে যাচ্ছেন। কারাগারে যাওয়ার পর ডায়া্বেটিকস, আর্থারাইটিসসহ নানা রোগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। জিয়ার কবর জিয়ারতের পর নেতৃবৃন্দ বনানীতে আরাফাত রহমান কোকোর কবরেও জিয়ারত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।