Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

সিলেটে দেড় হাজার স্থানে ঈদের জামাত শাহী ঈদগাহে

প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৩৪ পিএম

সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকায় ছোট-বড় এক হাজার ৪৭৪ স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ৫৭১টি ঈদগাহ ও ৯০৩টি মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সিলেট নগর এলাকা ৯৫ ঈদগাহে ও ২৬৪ মসজিদে এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪৭৬ ঈদগাহে ও ৬৩৯ মসজিদ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। 

সিলেট নগর পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার সুজ্ঞান চাকমা ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত রোজার ঈদের তুলনায় ঈদুল আজহায় জামাতের স্থান কমেছে ৪৪৭টি। এরমধ্যে ঈদগাহ কমেছে ২৪২টি এবং মসজিদ ২০৫টি।

গত রোজার ঈদে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় ১ হাজার ৯২১ টি মসজিদ ও ঈদগোহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও মহানগর এলাকায় ১ হাজার ১০৮টি মসজিদে এবং ৮১৩টি ঈদগাহ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট নগর পুলিশ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে, নগরে ঈদের প্রধান জামাত নগরের শাহী ঈদগাহে ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তাই শাহী ঈদগাহ কেন্দ্রীক নিরাপত্তায় থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়।

এছাড়া নগরের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহে, আলীয়া মাদরাসা ময়দান, কুদরত উল্লাহ জামে সমজিদ, কালেক্টরেট মাঠ, বন্দরবাজার, শাহপরান মাজার মসজিদকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ছাড়াও ঈদের দিন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

অতিরিক্ত উপ কমিশনার সুজ্ঞান চাকমা বলেন, ঈদে নিরাপত্তায় পোষাকে-সাদা পোষাকে পুলিশ মোতায়েন নগরময়। সেই সঙ্গে পুলিশের মোবাইল টিম ও ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। সব মিলিয়ে নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হবে। তাছাড়া শাহী ঈদগাহে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

তিনি বলেন, নগরের ঈদগাহগুলো ছাড়াও বাসা-বাড়ি, মার্কেট, হোটেল-মোটেল ও রাস্তাঘাটে চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে টহল পুলিশ মোতায়েন থাকবে। নগরবাসীকেও ফাঁকা বাসা-বাড়ি ভাল করে তালাবদ্ধ করে যেতে এবং প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরা বা অ্যালার্ম লক ব্যবহারে, বাসার প্রতি প্রতিবেশীদের খেয়াল রাখেতে বলা এবং বাসায় অনুপস্থিতকালীন সময়ে প্রতিবেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার পরামর্শও দেন তিনি।

সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে থেকেই সড়ক-মহাসড়কে পশুবাহী ট্রাকে যাতে চাঁদাবাজি না হয়, সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। ঈদের নিরাপত্তায় উপজেলাগুলোতে পোষাকে-সাদা পোষাকে সহস্রারাধিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি জেলার আওতাধীন পর্যটন এলাকাগুলো ও আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে জেলা পুলিশও নিরাপত্তা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করবে।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদের জামাত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ