প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সাম্প্রতিক খবর লিখতে গেলেই শুধু ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা। এ অবস্থায় কোনো সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক এবং শিল্পীদের কাছ থেকে যদি সাকসেসের খবর পাওয়া যায়। তবে সেটি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মাঝে আশা জাগায়। কিন্তু এই আশা জাগানিয়া খবরের নেপথ্যে যদি লুকিয়ে থাকে চরম সত্য একটি মিথ্যা তবে সব থেকে প্রত্যারণার শিকার হন ওই সব দর্শক এবং সংশ্লিষ্টরা।
সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পাওয়া একটি সিনেমা ‘আব্বাস’ প্রেক্ষাগৃহে তেমন একটা সফলতা অর্জন না করতে পারলেও প্রচারণায় ঠিকই সফলতা অর্জন করেছে। আর সে কারণেই এই চরম মিথ্যাটিকে সত্যি বলে প্রতিষ্ঠিত করে প্রচারণায় থাকতে চান সিনেমাটির প্রযোজক, পরিচালক এবং শিল্পীরা। সম্প্রতি সিনেমাটি সংশ্লিষ্টরা একটি পার্টি করেছেন । যাকে তারা সাকসেস পার্টি বলেই অবহিত করেছেন। যদিও সিনেমাটির শুরু থেকে এই সাকসেস পার্টি পর্যন্ত কোনো প্রচারণাতেই সিনেমাটির মুল নায়িকার দেখা মেলেনি।
সংশ্লিষ্টরা কেউ কেউ বলছেন প্রযোজক এবং পরিচালকের সঙ্গে টাকা পয়সার বনিবনা না হওয়ায় তিনি কোনো প্রচারণায় অংশ নেননি। তবে সিনেমাটির কর্তৃপক্ষ এটিকে অস্বীকার করে নায়িকার বাবা অসুস্থ থাকায় তাকে প্রচারণায় দেখা যায়নি বলে স্টান্টবাজি করছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। সিনেমাটির মুল চরিত্রে দেখা গেছে চিত্রনায়ক নিরব এবং সহানা সাবাকে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের এই দুর্দিনে সাকসেস পার্টি! সত্যিই কি সাকসেস হয়েছে ‘আব্বাস’? সেটা জানতে ইনকিলাব যোগাযোগ করে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সেন্সর বোর্ডে সিনেমাটি দেখেছি। বেশ ভালোই মনে হয়েছে। প্রচারণায়ও এমনটা লক্ষ করা গেছে। তবে সাকসেস বলতে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা কোন সাকসেসের কথা বলতে চেয়েছেন সেটা পরিস্কার নয়। প্রচারণার দিক থেকে সাকসেসই বলা যায় সিনেমাটিকে। এটা আসলে সাংবাদিকদের কৃতিত্ব। আর ব্যবসায়ীক দিক থেকে হলেও হতে পারে। যাই হোক এই মন্দার বাজারে সিনেমাটির সাকসেস পার্টি চলচ্চিত্রের জন্য ইতিবাচক বলেই মনে করছি। আর একটি সিনেমার মুল সাসসেস বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা হচ্ছে ব্যবসা। আমি সিনেমাটির ব্যবসা সম্পর্কে সত্যিই তেমন কিছুই জানি না। সেটা একমাত্র বলতে পারবে পরিবেশক এবং এর প্রযোজক।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজারের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, ‘প্রচারণা আর সফলতা এক নয়। তারপরও এটাকে ভালো দিক বলেই বিবেচনা করবো। তবে এটা একটি কৌশলও বলা যেতে পারে। এমন সময় একটি চলচ্চিত্রের জন্য এ ধরণের কৌশলের প্রয়োজন আছে বলেও মনে করি। আমাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। আমি মনে করি এই সাকসেস পার্টি ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি সুবাতাসের আগমন। তবে সাকসেস বলতে আমরা যেটা আগে বুঝি সিনেমাটি মুক্তির পর প্রযোজক আসলে কতো টাকা পেলেন। এই সিনেমাটি থেকে এর প্রযোজক কতো টাকা পেয়েছেন সেটা জানা নেই। তাই এই দিন থেকে সঠিক ভাবে বলতে পারছি না সিনেমাটি সাকসেস হয়েছে কিনা। তবে সত্যি করে বলছি সিনেমাটি আমার দেখা হয়নি। কিন্তু যতোটুকু শুনেছি তাতে সাকসেস হলেও হতে পারে। তবে নিশ্চিত নই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।