পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সমাবেশের জন্য সরকারকেই গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব দিতে হবে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকার যদি বিকল্প গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব না দেয় তাহলে নয়াপল্টনেই আমাদের সমাবেশ হবে।
আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশের কথা বলেছি। এখন বিকল্প প্রস্তাব দিতে হলে সরকারকে দিতে হবে। সরকারকে গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব দিতে হবে।
নয়াপল্টনের সমাবেশের অনুমতি পুলিশ না দিলে কি হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ পুলিশের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। নয়াপল্টনে সমাবেশ করব। তবে আমরা চাই পুলিশ যেন দলীয় ভূমিকা পালন না করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের গুলিস্তান অফিসের সামনে অফিস সড়ক বন্ধ থাকে। লীগের সমাবেশের সময় পুলিশ রাস্তার ম্যাপ দিয়ে দেয় জনগণকে চলাচলের জন্য। আমাদের সমাবেশে পুলিশ ওইরকম রাস্তার ম্যাপ দিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিকল্প হিসেবে ধূপখোলা মাঠের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অথচ ধূপখোলা মাঠ আর মাঠ নেই। তারা এমন কিছু স্থানের কথা বলছে যেখানে মাঠের চিহ্ন নেই। প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের হয়তো ঢাকার মাঠ সম্বন্ধে ধারণা নেই। এক সময় পল্টন ময়দান ছিল, তা আজ হারিয়ে গেছে। সরকারই এসব মাঠ ধ্বংস করে দিচ্ছে।
১০ ডিসেম্বর নিয়ে সরকার অহেতুক আতঙ্কিত দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাসায় ঘুমাতে পারছে না। আওয়ামী লীগও ঘুমাতে পারছে না। কারণ তারাও ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে৷ প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হচ্ছে৷
বিএনপির এই নেতা বলেন, আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। বিএনপির বেলায় আইন দুই রকম কেন? নয়াপল্টনেই সমাবেশ করব৷ আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ সভা। ভিন্ন কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। গণসমাবেশ ঘিরে একটি রিকশার টায়ার ব্লাস্ট হলেও দায় সরকারের।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম , যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, হেলেন জেরিন খান, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।