Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভারত ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে সপ্তম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সরকারী বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কর্মসূচীর অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। গত মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে যান আসাদুজ্জামান খান কামাল। বুধবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে সীমান্তে মাদকসহ সকল চোরাচালান বন্ধে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধসহ একটি নিরাপদ ও কার্যকর সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মায়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন মোদি। এছাড়া আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নে বিমসটেক কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মোদি মনে করেন। তিনি বাংলাদেশের ভূমি ব্যাবহার করে কোন সন্ত্রাসী, জঙ্গী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী যাতে ভারতসহ অন্য কোন দেশের ক্ষতি করতে না পারেÑ সে বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এর আগে বুধবারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ বাহিনী একে অন্যকে সহযোগিতা, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে উভয় দেশ যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। এছাড়া বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদেরকে নিরাপদে ও দ্রæত স্বদেশ প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সভা শেষে অমিত শাহকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান আসাদুজ্জামান খান।
গত বছরের জুলাই মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ তম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দু’দেশ অপরাধমুক্ত সীমান্ত, পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় নিবিড় সহযোগিতা নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।
##

 

 



 

Show all comments
  • নূরুল্লাহ ১৪ মার্চ, ২০২০, ৭:৩৩ পিএম says : 0
    হিন্দুত্ববাদি কথাটায় তাদের নৃশংসতা কদর্যতা আড়াল হয়ে পড়ে না? লিখা উচিত, পৈশাচিকতা বর্বরতা নৃশংস খুনখারাপি লুটতরাজ। তাহলে গরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায় বুঝবে মোদি বিজেপি আর হিন্দু ধর্ম এক নয়। বিশ্বমিডিয়া প্রতিবাদী মুসলিম যুবকদের কাজকর্মকে যেভাবে সন্ত্রাসের তকমা দেয় এখানে দেয় না কেনো? তাদের কর্মকাণ্ড কি ভারতের দাঙ্গা ও ইজরায়েলের জেলের চেয়ে বীভৎস! অনেক কথাই মনে পড়ে...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নরেন্দ্র মোদি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ