বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানার ভিতরে এক তরুণীকে (২১) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষিতা তরুণী নিজে আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। দোষী প্রমাণ হলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন তারা।
ভূক্তভোগী তরুণীর ভগ্নিপতি শাহাবুদ্দিন মাতুব্বর জানান, গত শুক্রবার তার শ্যালিকা যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। ট্রেন থেকে নামার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি থানার ওসি ওসমান গনি পাঠান প্রথমে এবং এরপর আরো ৪ জন পুলিশ সদস্য পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন শনিবার তাকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। যদিও ধর্ষণে অভিযুক্ত ওসি ওসমান গনি এ ঘটনা ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন।
দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানিয়ে মো. নাছির উদ্দীন লিখেছেন, ‘‘ঘটনা সত্য হলে (মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত প্রমানিত হলে) এই পুলিশ কর্মকর্তাদের এমন বিচার করা হউক যেন ভবিষ্যতে কোনো পুলিশ এমন কাজে বিরত থাকে।’’
আক্ষেপের সাথে কামরুল হোসাইন মামুন লিখেছেন, ‘‘ভাই আমরা কোন দেশে বাস করি।। ধিক্কার জানাচ্ছি !!!আজকে এই দেশে জন্মগ্রহণ করে নিজেকে অপরাধী বলে মনে হয়!! আইনের কোন বালাই নিয়ে দেশে।’’
‘‘এই ভাবে এদের দ্বারা ধর্ষণ হয় তাহলে দেশের অবস্থা কেমন হতে পারে। এদের এমন দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা হোক যা দেখে এই ধরনের জঘন্য অন্যায় করতে যাতে আর কেউ দুঃসাহস দেখাতে না পারে’’ লিখেছেন মোঃ হামিদুর রহমান।
ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নাজমুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘যে রাষ্ট্রে রক্ষকই ভক্ষক,সে দেশে আমরা কি আশা করতে পারি। চেতনায় ভরপুর নেত্রীরা কে কোথায় একটা কিছু বলুন।’’
আমিনুল হক খান লুলু লিখেছেন, ‘‘পুলিশদের অবৈধ ক্ষমতারই প্রতিফলন।বোঝার চেস্টা করুন।আর কতো।’’
‘‘কপাল পোড়া জাতি,ঘুষ নিয়ে চাকরি দিলে এর থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। না এদেশে আর বিচার চাইবো না। আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম’’ মন্তব্য জাহিদ হাসানের।
শাহাদাত হোসেনের মন্তব্য, ‘‘ওসিকে পুরুষ্কার দেওয়া দরকার। কারণ সে বাংলাদেশের অবস্থা যেমন তার সাথে তাল মিলাই চলতেসে। তারি বা কি দোষ!! সে তো জানেই বিচার হবে না। এরপর সে ওসি। জেনে শুনে করেছে। তাকে আরও প্রমোশান দেওয়া দরকার।’’
জাকির লিখেছেন, ‘‘যখন রক্ষক বক্ষক হয়ে যায় তখন বুঝতে হবে সে দেশে আর আইন বলে কিছু থাকলো না!!আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই পুলিশ নামক কিটগুলোর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। এরা দেশের শত্রু এদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।’’
‘‘ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুলিশকে মাথায় তোলা হয়েছে যার ফলে পুলিশ যা ইচ্ছে তাই করছে’’ মন্তব্য সোয়াইব হোসেনের।
কাজী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘পুলিশ যদি ভক্ষক হয় তাহলে রক্ষক কে? তারাই যদি পবিত্র দায়িত্ব থাকাবস্থায় অপরাধ করে তলে দেশে পুলিশে দরকার কি? পুলিশের বেতন তো জনগনের টাকা হয়। তাই নয় কি?’’
‘‘এগুলি আগে সিনেমায় দেখা যেতো, এখন এই নষ্ট দেশে বাস্তবেই দেখা দিতে শুরু করেছে’’ মন্তব্য ফারুক আকাশের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।