প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ভারতের জি বাংলার সঙ্গীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’তে অংশগ্রহণ করে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বাংলাদেশের তরুণ সঙ্গীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। প্রতিযোগীতায় যৌথভাবে দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েও নোবেল ছিলেন আলোচনার শীর্ষে। ফাইনালের ফলাফল নিয়ে ছিলো ব্যাপক সমালোচনা। এবার নোবেলকে নিয়ে শুরু হলো নতুন আলোচনা সমালোচনা। এক ভিজুয়্যাল সাক্ষাৎকারে নোবেল বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ আমাদের দেশটাকে যতটা প্রকাশ করে, তার চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বেশি প্রকাশ করেছে প্রিন্স মাহমুদ স্যারের লেখা ‘বাংলাদেশ’ গানটি।’ যদিও নোবেল কথাটি বলার আগে বলে নিয়েছিলেন যে, এটি তার একান্ত ব্যক্তিগত মত।
এছাড়া একটি জাতীয় দৈনিকে দেয়া সাক্ষাতকারে নোবেল বলেন, ‘সা রে গা মা পা’তে ‘পাগলা হাওয়া’ গানটি গেয়েছিলাম, কিন্তু টেলিকাস্ট হয়নি। কারণ জেমস ভাই তাঁর ম্যানেজারকে দিয়ে ফোন করান এবং বলেন, ‘পাগলা হাওয়া’ গানটা যেন টেলিকাস্ট না হয়। আমাকে জেলে পাঠানোর হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়, এমন নানা রকমের আন-এক্সপেক্টেড কার্যকলাপ হয়েছে আর কি! একজন আইডলের কাছ থেকে এ ধরনের হুমকি-ধমকি সত্যিই অপ্রত্যাশিত। আমি উনার ছেলের বয়সী। এরপরও জেমস ভাইয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কখনোই কমবে না।’
একই সাক্ষাতকারে প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও জেমসের গাওয়া ‘বাংলাদেশ’ গানটি প্রসঙ্গে নোবেল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, জাতীয় সংগীতের পর ‘বাংলাদেশ’ গানটাই আমাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে এবং দুই বাংলাকেই রিপ্রেজেন্ট করে ‘আমি বাংলায় গান গাই’। ’
এই দু’টি বিষয়ে নোবেলের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর শুরু হয় বিতর্কের ঝড়। ফেইসবুকে কেউ কেউ তার এসব মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। আবার অনেকে তাকে সমার্থন জানান। কেউ কেউ আবার তাকে কথা বলার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।
শিশু সাহিত্যিক হুমায়ন কবির ঢালী ফেইসবুকে নোবেলকে সতর্ক করে লিখেন, ‘নোবেল, শুধু গান গেয়ে যাও। কথা কম কও। তোমার কথার নমুনা ভালো না। তোমার উঠতে দীর্ঘ সময় লাগলেও নামতে এক সেকেন্ডও লাগবে না।’
‘নোবেলের জনপ্রিয়তা হয়তো আজ আছে, কাল থাকবে না বা অনেক দিন থাকবে। গান সে ভালই গায়, আর জাতীয় সংগীত নিয়ে সে যে কথা বলছে সেটাও খুবই লাইটলি বলছে। নোবেল এমনিতেও কথা গুছায়ে বলতে পারে না বলে আমার মনে হয়। ......’ - লিখেছেন হৃদয় সাহা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আজিজুর রহমান লিখেছেন, ‘পুকুরের মাছ যখন নদীর পানি পায়, তখন সে দিশেহারা হয়ে যায়। নোবেলের ক্ষেত্রেও মনে হচ্ছে সেটাই ঘটছে।’
‘জাতীয় সংগীতের পর বাংলাদেশ গানটাই আমাদের রিপ্রেজেন্ট করে!- নোবেল। বাট সবাই কথাটাকে উল্টা করে বলছে, জাতীয় সংগীতকে অপমান করছে। কথার অর্থ বুঝতে হবে। বিষয়গুলো সঠিকভাবে বোঝা উচিত। বয়কট করা, কাউকে নিচু করা আমাদের স্বভাবে যেন না হয়, আগে নিজে দেখুন জানুন, পরে কথা বলুন! ৬ কে ৯ বানাবেন না।’ - এমডি প্লাবন চৌধুরীর মন্তব্য।
রহমান মতি লিখেছেন, ‘নোবেলকে নিয়ে তোলপাড় অলরেডি টক অফ দ্য কান্ট্রি। আমাদের দেশে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে কারো সমালোচনা করতে করতে তাকে হুট করে বর্জন করতে একজোট হওয়া। যে নোবেলের সারেগামাপা-র একেকটা গান প্রকাশ হবার পর ভাইরাল করতে ব্যস্ত থাকত লোকজন তারাই এখন তাকে বর্জন করতে চাচ্ছে। ...... ‘
নোবেলভক্ত শরীফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘নোবেল এখন তারকা। তার ব্যক্তগত মত নিয়ে আলোচনা হবে। তাই জাতীয় সংগীতের মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে নোবেলকে আরও সতর্ক হতে হবে। ‘
‘সা রে গা মা পা’তে ‘পাগলা হাওয়া’ গানটি প্রচার না হওয়া প্রসঙ্গে নওরীন জাহান লিখেছেন, ‘কেন গানটি প্রচার হয় নি, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, জেমস ও নোবেল জানে। কিন্তু কথা হলো এই বিষয়টি নোবেল মিডিয়াকে না বললেও পারতেন। কারণ জেমস উপমহাদেশের একজন অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তার সম্মানহানী হয়, এমন কোন কথা বলা নোবেলের উচিত হয় নি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।