পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ডেঙ্গু নিয়ে রাজনীতি করছে। তারা কখনো বলে- মহামারী ঘোষণা করো, কখনো বলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করো। জরুরি অবস্থা তাদের দরকার যারা সঙ্কটে আছে। তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেই। তারা বন্যার্তদের পাশে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতামূলক র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ পরিছন্ন ডেঙ্গু মুক্ত বাংলাদেশ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই র্যালির আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করছি। সারাদেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষ যাতে চিকিৎসা পায়, যাতে যথাযথভাবে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় সেজন্য এই সেল কাজ করবে।
মন্ত্রী বলেন, এখন সময়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। দেশের মানুষকে ডেঙ্গু আতঙ্ক থেকে রক্ষা করতে হবে। একটি মহল আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, যাতে ঈদের সময় কেউ বাড়িঘরে না যায়। আপনারা সতর্ক থাকবেন। এটাই আমাদের অনুরোধ, সতর্ক থেকে ঈদ উদযাপন করবেন। বাড়িঘরে সবাই যাবেন কিন্তু সতর্ক থাকবেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ যতদিন পর্যন্ত গড়তে না পারব ততদিন আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে। এটাই আমাদের আজকের অঙ্গীকার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপমুক্ত ও এডিস মশা নির্মূল আমরা লড়াই হিসেবে নিয়েছি। দল হিসেবে বিএনপিরও দায়িত্ব আছে ডেঙ্গু মোকাবেলায় কাজ করার। কিন্তু তারা কোথাও নেই। তারা কখনো বলছে সরকার ব্যর্থ, কখনো বলছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের ব্যর্থতা থেকে উদ্ধারের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা দরকার। বিএনপি এটাকে নিয়ে রাজনীতি করছে। তারা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নেই, তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করছে না। তারা সঙ্কটে আছে, তাদের উদ্ধারের জন্য জরুরি অবস্থা দরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ ও এডিস মশা আশঙ্কাজনকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। আমরা এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রেখে যেকোনো মূল্যে দেশকে ডেঙ্গুমুক্ত করব। সবাই যদি আমরা সচেতন হই তাহলে আমরা ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারব।
র্যালিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ওই এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়।
আওয়ামী লীগের ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও চিকিৎসা মনিটরিং সেল
সারাদেশে ডেঙ্গু-আক্রান্ত রোগীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও চিকিৎসা মনিটরিং সেল গঠন করেছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই সেল গঠন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রশিদুল আলম, মুকুল বোস ও চিকিৎসক নেতারা।
দলের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বৈঠকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও চিকিৎসা মনিটরিং সেলের ৫ দফা কর্মসূচি নেয়া হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দেশের ৬৪ জেলায় মনিটরিং সেল গঠন, জনসচেতনতা তৈরি, চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর কাজে উৎসাহিত করা, সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করা এবং সব জেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিশ্চিত করা। মনিটরিং সেলের আহ্বায়ক করা হয়েছে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে। এর সদস্যরা হলেন- রোকেয়া সুলতানা, বদিউজ্জামান ভূঁইয়া (ডাবলু), এম ইকবাল আরসালান, কনক কান্তি বড়ুয়া, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, এম এ আজিজ, শারফুদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল হাসান খান, এম এ রউফ সরদার, এ বি এম আবদুল্লাহ, মো. কামরুল হাসান (মিলন), উত্তম কুমার বড়ুয়া, খান আবুল কালাম আজাদ, ঝিলন মিয়া সরকার, শাহানা আখতার রহমান, এহসানুল কবির জগলুল, আলী আসগর মোড়ল, মো. জুলফিকার আলী (লেনিন) এবং সৈয়দ আতিকুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।