Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতীয় মুসলমানরা মানবাধিকার বঞ্চিত থাকলে ভারতেরই ক্ষতি

বিআইএমের আলোচনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখতে ভারতের অনেক দায়িত্ব আছে। সংবিধানে দেয়া সকল অধিকার মুসলমানের পাওনা। তা সত্ত্বেও ভারতে উগ্রবাদীরা যা করছে তা মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। ভারতের উগ্রবাদীদের আচরণ ভারতকেই চরম ক্ষতিগ্রস্থ করছে। ‘বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়াল মুভমেন্ট’ (বিআইএম) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে গত বৃহস্পতিবার এ আলোচনা সভা হয়। সভায় বক্তারা বলেন, ভারতে সরকারীভাবে মুসলমানদের শরীয়ত আইনকে পরিবর্তন করা হচ্ছে, শরীয়তবিরোধী রায় দিচ্ছে বিচারালয় এবং সংসদে বিল পাশ করে মুসলমানদের পারিবারিক আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এসবই বিশ্ব সমঝোতার ব্যত্যয়। সভ্যতার ইতিহাসে কোনো ধর্ম সম্প্রদায়ের প্রতি এমন আচরণের নজির খুব কমই পাওয়া যায়। বাংলাদেশে সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সবারই ভূমিকা থাকা উচিত। ভারতে ৩০% মুসলমান, অথচ সরকারী চাকরীতে তারা ২%। বাংলাদেশে ৭% হিন্দু, চাকরীতে তারা ৩০ ভাগেরও বেশি। শতশত বছরের ঐতিহ্য নষ্ট করে ভারতে মুসলমানদের হত্যা ও উৎপীড়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে মুসলিম শিশুদের ওপর ভিন্ন ধর্মীয় উপাসনা ও প্রসাদ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব অনিয়ম যারা করছে তাদের বিবেক জাগ্রত করা ছাড়া কোনো পথ নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ভারতকে যেমন নিজ দেশের নাগরিকদের মানবাধিকার দিতে হবে, তেমনি প্রতিবেশীদের সাথে তার আচরণ হতে হবে ন্যায়ভিত্তিক। 

২০২৩ সালে তুরস্কের আন্তর্জাতিক চুক্তির ১০০ বছর শেষ হলে বিশ্বে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ড. মাহাথির মোহাম্মাদের নাগরিকত্ব কিংবা স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি তাদের নতুন পথের দিশা দিতে পারে। ভারতেও বহু রাজ্যে মুসলিম খৃষ্টান ও শিখদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার আলোকেও ভারতকে উদার ও গণতান্ত্রিক হতে হবে। বিশ্বব্যাপী বিশাল পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রেখে উপমহাদেশের সকল রাষ্ট্রকে সংকীর্ণতা মুক্ত হয়ে সহিষ্ণু ও মানবিক হতে হবে। ক্ষমতার ভারসাম্যের যুগে কুপমন্ডুকতার কোনো স্থান নেই। বড় শক্তিগুলোর এক তরফা দাদাগিরি নতুন বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অচল। বক্তাদের আলোচনায় এসব কথাও উঠে আসে।

লেখক ও সাংবাদিক উবায়দুর রহমান খান নদভীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন রাজনীতিবিদ ড. আহমদ আব্দুল কাদের, নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ন মহাসচিব একেএম আশরাফুল হক, প্রথম আলোর ধর্মীয় কলামিষ্ট শাঈখ উসমান গনি, ইসলামী ল’ রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম, শাইখুল হাদীস মুফতি জহির ইবনে মুসলিম, পীর ইয়ামেনী মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, সবার খবরের সম্পাদক আব্দুল গাফফার, মারকাজু শাইখুল ইসলাম আল মাদানীর পরিচালক মাওলানা আব্দুল আলীম, ইনসাফ টুয়েন্টি ফোর ডট কমের সম্পাদক সাইয়্যেদ মাহফুজ খন্দকার, মাওলানা মাহমুদুল হাসান সিরাজী, লেখক আনাস বিন ইউসুফ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কলামিষ্ট মোবায়েদুর রহমানের কী-নোট পেপার উপস্থাপিত হয়। প্রজেক্টরে মুসলিম স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডকুমেন্টারি তুলে ধরেন ক্যারিয়ার বাংলাদেশের পরিচালক মুফতি আফজাল হোসাইন। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিআইএম এর সম্পাদক সৈয়দ শামছুল হুদা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ