বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোরবানীকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জে খামারীরা সাড়ে ৩২ হাজার গরু প্রস্তুত করেছে। ঘাস, খড়, ভুসি ও কুড়া খাইয়ে খামারীরা এসব গরু প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করেছেন। এ গরুতে কোন স্ট্রেরয়েড বা অপদ্রব্য পুশ করা হয়নি। তাই গরুর ভালো দাম পেয়ে খামারীরা লাভবান হবেন বলে প্রত্যাশা করছেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস জানিয়েছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ৬৪৩ খামারে ৩১৯৮টি গরু, কোটালীপাড়ায় ১১৫৭ খামারে ৭৪৬১টি গরু, মুকসুদপুরে ৬৬৫ খামারে ৬৪৮৮টি গরু কাশিয়ানীতে ৫৮৪ খামারে ৬৫৩৩ টি গরু ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৭৫ খামারে ৮৯৬২ টি গরুসহ কোরবানীর জন্য মোট ৩২ হাজার ৬৪২ টি গরু মোটা তাজা করা হয়েছে। এ জেলায় এ বছর কোরবানীর গরুর চাহিদা প্রায় ৩১ হাজার। তাই গরু উদ্বৃত্ত থাকছে ১ হাজার ৬৪২টি।
গত ৩ বছর ধরে গোপালগঞ্জের খামরীরা কোরবানীর চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত গরু প্রস্তুত করে আসছেন। গরু মোটাতাজা করতে তাদের খরচ কম হচ্ছে। পাশাপাশি প্রাণি সম্পদ বিভাগ তাদের পাশে দাড়িয়েছে। এ কারণে গরু মোটাজাতা করে তারা লাভবান হচ্ছেন। এ বছর ভারত থেকে গরু না আসলে খামারীরা গরু বিক্রি করে আরো বেশি লাভবান হবেন। এ আশায় এখন খামারীরা এসব গরু বাজারজাত করণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গোপালগঞ্জ জেলা ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের মাঠ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা খামারের গরু পর্যবেক্ষণ করে বাজারজাত করণের আধুনিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন।
কোটালীপাড়া উপজেলার তারাইল গ্রামের খামারী অনন্ত বাইন বলেন, আমরা পৌষ মাসে গরু মোটাতাজা করণের জন্য ছোট গরু কিনে আনি। পৌষ থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত এ গরু বিলের মাঠে বিচরণ করে ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকে। প্রথম দিকে গরু পালনে কোন খরচ হয়না। আষাঢ় মাসের শুরুতেই বিলে পানি চলে আসে। তখন গরু বাড়িতে নিয়ে আসি। বিলের কাঁচা ঘাস কেটে এনে খড়, গমের ভুসি ও কুড়ার সাথে মিশিয়ে খাওয়াই। এভাবে গরু মোটাতাজা করতে তেমন খরচ হয়না। তাই গরু মোটাতাজা করে আমাদের ভালই লাভ হয়।
একই গ্রামের খামারী রমেন্দ্র নাথ মন্ডল, শ্যামল মন্ডল ও বিপ্লব মন্ডল বলেন, প্রাণি সম্পদ অফিস গরু মোটাতাজা করণে আমাদের প্রশিক্ষণ,পরামর্শ, ভ্যাকসিন পুশ ও ওষুধ দিয়ে সহায়তা করেছে। এখন গরু বাজারজাত করণের পরামর্শ দিচ্ছে। আমরা তাদের পরামর্শেই গরু বাজারজাত করবো।
কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কুমার দাস বলেন, এ উপজেলার বিল এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবার ৪ থেকে ১৫টি গরু মোটাতাজা করে। কোরবানীর সময় এ গরু বিক্রি করে তারা ভালোই আয় করেন। এ পেশায় এ উপজেলার বিল এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। তাই প্রতি বছরই লাভজনক গরু মোটাতাজা করণের উপর বিলের মানুষ ঝুঁকছেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আজিজ আল মামুন বলেন, গোপালগঞ্জে খামারীরা কোরবানীর চাহিদার চেয়েও দেড় হাজার বেশি গরু প্রস্তুত করেছে। এসব পশুতে কোন অপদ্রব্য পুশ করা হয়নি। তারপরও আমরা কঠোরভাবে খামার তদারকি করছি। খামারীকে গরু বাজারজাত করণের আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছি। ভারত থেকে গরু না আসলে খামারীরা তাদের গরু বিক্রি করে এ বছর আরো বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।