Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কেশবপুর শহরের মধ্যে সড়ক নির্মাণে হযবরল অবস্থা

৯ মাসে কাজ শেষ না করতে পারায় শহরবাসীর ভোগান্তি চরমে

কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ৫:২৩ পিএম

কেশবপুর শহরে ত্রিমোহিনী মোড় হতে বায়সা মোড় ও পাইলট স্কুল গেট পর্যন্ত সড়কটি কেশবপুরের রূপকার প্রয়াত সফল শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেক সাহেবের নামে যার নির্মাণ কাজ চলছে ঢিলেতালে। দীর্ঘ ৯ মাসে কাজ শুরু করলেও আজও শেষ না হওয়ায় শহরবাসী ও পথচারীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছিয়েছে। শহরবাসীর জিজ্ঞাসা এই ভোগান্তির শেষ কবে?

কেশবপুর পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র ত্রিমোহিনী মোড় হতে পশ্চিম দিকে বায়সা মোড় পর্যন্ত ও ত্রিমোহিনী মোড় হতে পূর্ব দিকে পাইলট স্কুল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন জনসাধারণের চলাচলের জন্য ছিল অনুপযুক্ত। চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। এই সড়ক ২টি নির্মাণ জন্য শহরবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবী করে আসছিল। দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ও এলজিডি গত ১০ মাস আগে এই সড়ক দুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। শহরের স্থানীয় বাসীন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ২টি নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি পেয়েছে এল রহমান এন্টার প্রাইজ ও মোজাহার এন্টার প্রাইজ। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসেই সড়ক ২টি নির্মাণের জন্য খোড়াখুড়ি শুরু হয়। খোড়াখুড়ির পাশেই ত্রিমোহিনী মোড় হতে বায়সা মোড় পর্যন্ত রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণের দীর্ঘ সময় ব্যায় করায় এবং নির্মাণ কাজে অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় বারংবার বাধার মুখে পড়ে। যার কারণে নির্মাণ কাজ খুব ধীর গতিতে চলতে থাকে। কেশবপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মোড় হতে বায়সা মোড় পর্যন্ত রাস্তা ২টি শহরের সবচেয়ে ব্যাস্ততম রাস্তা। কারণ এই রাস্তার ২ পাশে প্রায় শতাধিক বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পশু হাসপাতাল, ৪টি ক্লিনিক ও সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ জন সাধারণের চলাচলের ক্ষেত্রে ভোগান্তির কথা বিবেচনায় না নিয়ে ভরা বর্ষা মৌসুমে অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ ফেলে রেখেছে।

যার ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে এই সড়ক ২টি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সড়কের পাশের ব্যবসায়ী ও পৌর আওয়ামীলীগ নেতা কার্তিক সাহা তার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে যেয়ে আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, সড়ক নিয়ে কিছু লেখার দরকার নেই। আমরা ভালো আছি। গত ১০ মাস হলো সড়কের এই অবস্থা করে ফেলে রেখেছে। যার কারণে আমরা ব্যাবসায়ীরা ক্ষতির পাশাপাশি চলাচলের ক্ষেত্রে জনসাধারণের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রভাবশালী হওয়ায় এর ভালো মন্দ নিয়ে কথা বলতে গেলে তখন আমাদেরকে চাঁদাবাজি বলা হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র ত্রিমোহিনী মোড়ের পাশে রয়েছে সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২টি শাখা। ব্যাংক লেনদেনের জন্য রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে জন সাধারণের ভোগান্তি একেবারে চরম শিখরে পৌছিয়েছে। এদিকে ত্রিমোহিনী মোড় হতে হাসপাতালের এই সড়কটি বৃষ্টির জন্য এত বেহাল দশা যে সরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রুগী বহনের ক্ষেত্রে ভোগান্তির কোন শেষ নেই। শহরবাসীর দাবী রাস্তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ রাজনীতি ও ব্যবসা যাই করুক দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করতে । ব্যবসায়ীরা গত ঈদুল ফিতরে ও আসন্ন ঈদুল আযহার সময়ে ব্যবসা ক্ষেত্রে অবর্ণণীয় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। শহরবাসী দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্যার নিরসন চায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক নির্মাণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ