রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরের শিব নদীর (বিলকুমারি বিল) ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, প্রায় এক দশমিক ৪৫০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে প্রথমে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ব্যয় ধরা হলেও দ্বিতীয়বার প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে রাতের আঁধারে কাদামাটি দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণের অভিযোগে গত ২৬ জানুয়ারি রাজশাহী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী (এক্সচেঞ্জ) গোলাম মোস্তফা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি এসব নিম্নমানের কাদামাটি সরিয়ে নিয়ে ভালো ও শক্ত মাটি দিয়ে সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই নির্দেশ অমান্য রাতের আঁধারে কাদামাটি দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ করে চলছে। এসব কারণে সেতুর সংযোগ সড়কের স্থায়ীত্ব নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, বিরাজ করছে উত্তেজনা। গোল্লাপাড়া গ্রামের আশরাফুল আলম, এমদাদুল হক, জয়দেব ভাদুড়ি, ও সোহেল রানা ডন অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার নিয়ম লঙ্ঘন করে রাস্তার পাশের ও পুকুরের নরম কাদামাটি দিয়ে সড়ক নির্মাণ করছেন, আমরা বাধা দিলেও তারা বাধা উপেক্ষা করেই এভাবে নিম্নমাণের সামগ্রী দিয়ে সড়কের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর তানোর ও মোহনপুর উপজেলার গ্রামীণ জনগোষ্ঠির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে বিগত ২০০৫-০৬ অর্থবছরে শিব নদীর ওপর ২১৫ দশমিক ৮ মিটার দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতুটি নির্মাণে প্রায় ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০১২ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। বিগত ২০১৩ সালে প্রায় এক দশমিক ৪৫০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরে টেন্ডার আহবান করা হয়। ঠিকাদারী কার্যাদেশ পায় মেসার্স ফরিদ কন্ট্রাকশন। তাদের কাছে থেকে কাজটি কিনে নেয় রাজশাহী শহরের মেসার্স ডন এন্টারপ্রাইজ। তারা কাজটি কেনার পরে দ্বিতীয় দফায় নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা করা হয় ও চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন করতে বলা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই সংযোগ সড়ক নির্মাণে নিম্নমাণের সামগ্রী ও কাদামাটি দিয়ে সড়ক নির্মাণ করায় সেটি পর পর দুই বার ভেঙে যায়। এদিকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা থাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফের নিম্নমাণের সামগ্রী ও কাদামাটি দিয়ে সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি’র রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী (এক্সচেঞ্জ) গোলাম মোস্তফা বলেন, কাদামাটি দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করায় ঠিকাদারকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব মাটি সরিয়ে ফেলে শক্ত ও ভালো মাটি দিয়ে সড়ক নির্মাণ করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তানোর এলজিইডির প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণে অনিয়মের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, সিডিউল মোতাবেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে কাজ বুঝে নেয়া হবে। এ ব্যাপারে মেসার্স ডন এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী হারুন অর রশিদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দেখভালের দায়িত্বরত ম্যানেজার মুকুল বলেন, এক ঠিকাদারের কাছে থেকে কাজ নিয়ে কাজ করলে একটু এদিক-ওদিক হবে এটাকে অনিয়ম বলা উচিৎ নয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়ম-অনিয়ম বুঝি না মালিক আমাকে যেভাবে নির্দেশ দিবেন আমি সেইভাবে কাজ করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।