Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্নাটকে আস্থাভোটে জয়ী ইয়েদুরাপ্পা, স্পিকারের পদত্যাগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৯, ৩:১৯ পিএম

যা ভাবা হয়েছিল শেষপর্যন্ত তাই হল। সোমবার কর্নাটকে আস্থাভোট জিতে নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ১৭ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হওয়ায় বিধানসভার আসন সংখ্যা কমে হয়েছিল ২০৭। ম্যাজিক ফিগার দাঁড়িয়েছিল ১০৪। এইমুহূর্তে, ১০৫ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। আর এই সমীকরণে ভর করেই এ বার কর্নাটক দখল করে নিল গেরুয়া শিবির।

গত তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার টানাপড়েন চলছিল কর্নাটক বিধানসভায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, আস্থাভোটে নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৪ মাসের জোট সরকার। এরপর, সরকার গড়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন করে বিজেপি। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সোমবার সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। এ দিন আস্থাভোটের পর পদত্যাগ করেন স্পিকার কেআর রমেশ কুমার।

রোববার, ১৪ ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছিলেন স্পিকার কেআর রমেশ কুমার। তার আগেও ৩ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করে দেন তিনি। মোট ১৭ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় কর্নাটকে ফিরে আসা অনেকটা সহজ হয়ে দাঁড়ায় ইয়েদুরাপ্পার কাছে। রবিবারই তিনি আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, ‘সোমবারই আমরা সংগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।’ এ দিন তা প্রমাণও করেন তিনি। বিধান সৌধে ধ্বনি ভোটেই স্থির হয়ে যায় কন্নড়ভূমের রাজনৈতিক গতিপথ।

আস্থাভোটে জিতে বিরোধীদেরও বার্তা দিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। ভুলে যাওয়া ও ক্ষমা করে দেওয়াই আমার নীতি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ