Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডিসহ তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:৪৭ পিএম | আপডেট : ২:৩৫ পিএম, ২৯ জুলাই, ২০১৯

বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিলসহ তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সংস্থার সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি অপর দুই কর্মকর্তা হলেন, বিমানের চিফ ফাইনানশিয়াল অফিসার বিনীত সুদ ও পরিচালক (প্ল্যানিং) মাহবুব জাহান খান। এছাড়া বিমানের সিনিয়র পাইলট ফজল মাহমুদ এবং পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মো. আশরাফুল আলমকেও পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ফজল মাহমুদের বিরুদ্ধে রয়েছে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ। গত ২৪ জুলাই বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল মুনীম মুসাদ্দিক আহমেদসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। এর মধ্যে গত রোববার বিমানের পরিচালক ( প্রশাসন) পার্থ কুমার পন্ডিত, পরিচালক (ইঞ্জিনিয়াং অ্যান্ড মেটারিয়েল ম্যানেজমেন্ট) সাজ্জাদুর রহিম, পরিচালক (কাস্টম সার্ভিস) মুমিনুল ইসলাম ও জিএম (প্রশাসন) বুশরা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের পর দুদক কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার সময় ফারহাত হাসান জামিল সাংবাদিকদের বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে বিমানে পাইলট নিয়োগে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তবু আমার বক্তব্য আমি দিয়েছি। দুদক তাহলে তলব করলো কেন-জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখানে কেউ হয়তো অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই জন্যই হয়তো তলব করা হয়েছে। অনুসন্ধানের পরই হয়তো বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা আসলে কি ।
এদিকে দুদকের কর্মকর্তার বলছেন, বিমানের ওই কর্মকর্তারা ক্যাডেট পাইলট নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে’ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির উৎস ‘চিহ্নিত’ করে তা বন্ধে গত মার্চে কিছু সুপারিশ দেয় দুদক। তাতে বলা হয়, বিমানের জন্য উড়োজাহাজ কেনা, ইজারা নেয়া ও নানা যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ‘ব্যাপক দুর্নীতি’ হয়ে থাকে। উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনাকাটায় ‘শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি’ হয়ে থাকে। বিমানের আয়ের বড় খাত কার্গো সার্ভিস হলেও এ খাতে ‘বড় ধরণের’ দুর্নীতি হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিমান

১৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ