রামগড় খাগড়াবিল নোয়াপাড়া এলাকায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণকারী প্রধান আসামী কুলাংঙ্গার পিতা আবুল কাশেম প্রকাশ শিয়াল কাশেম মামলার এক সপ্তাহ পর খাগড়াছড়ি শাপলা চত্তর থেকে শনিবার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার সময় আটক করে রামগড় থানা পুলিশ। এর আগে গত ২০ জুলাই মেয়ের চাচা ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলা করলে মেয়েকে ধর্ষণে স্বামীকে সহযোগিতা করার দায়ে এজাহারভুক্ত অপর আসামী মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ তারেক মো: আবদুল হান্নান এ প্রতিনিধিকে জানান, ঘটনার পর পুলিশ আসামীকে আটক করতে জোর চেষ্টার পর খাগড়াছড়ি শাপলা চত্তর থেকে বিশেষ কৌশলে ছদ্মবেশী পুলিশ আসামীকে আটক করে। এসময় তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন এসআই আনোয়ার-পিএসআই ফরিদসহ কর্তব্যরত ফোর্স।
প্রসঙ্গত, মায়ের সহযোগিতায় মাদরাসা পড়ুয়া নিজের ঔরশজাত মেয়েকে ধর্ষণ করে পিতারূপী এক নরপশু। গত ২ জুলাই রাতে জোরপূর্বক প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। পিতার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি পিতার যৌন লালসার শিকার ওই মেয়েটি। সর্বশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ছোট ভাইবোন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে আবারও ধর্ষণ করতে গেলে সে তার সাথে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতে বলে। ধর্ষনের সময় সে চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরতো। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে তাকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে ফেলারও ভয়ভীতি দেখাতো তার পিতা।
বিষয়টি গত ১৪ জুলাই তার চাচা ওমর ফারুককে পিতার যৌন লালসার শিকারেরর কথা জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে গেলে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মেয়েটি একাধিকবার তার পিতার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে। এসময় তার মাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর দিনমজুর কুলাংঙ্গার পিতা পলাতক ছিলো।