বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির নেতৃত্বের পথে হাঁটতে শুরু করছে সিলেট আওয়ামীলীগের রাজনীতিক নেতৃত্ব! যুবলীগের সম্মলেন ও কাউন্সিল ঘিরে, নেতৃত্ব গঠন নিয়ে এমন জল্পনা কল্পনা চলছে সিলেটের রাজনীতিক অঙ্গনে। ২০০১ সালে বিএনপি ৪ দলীয় জোট ক্ষমতা গ্রহনের পর সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্বে অভিষেক ঘটতে থাকে ব্যবসায়ী রাজনীতিকদের। ধ্যান জ্ঞানে ব্যবসায়ী, রাজনীতি পরিচয় হয়ে উঠে তাদের অলংকারে। এতে করে নীতি নির্ধারনীতে চলে আসে ব্যবসায়ীরা। রাজনীতিক বিস্তৃতি, সাংগঠনিক কার্যক্রমের চেয়ে ব্যবসায়ীক নেতারা সিন্ডিকেট গড়ে তোলে ব্যাপক ব্যবসায়ীক সফলতা অর্জন করে। প্রজক্টে বা প্রকল্পের ছড়াছড়ি ছিল সিলেট জুড়ে। কিন্তু তৃণমুলের ত্যাগী নেতারা পড়ে যায় পেছনের সারিতে। বছরের পর বছর কমিটি অনিয়মিত হয়ে পড়লেও ব্যবসায়িক দাপুটে রাজনীতিকদের টাকার ঠেলায় কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চাপা পড়ে যায়।
পরবর্তী ওয়ান ইলেভেন, সহ আওয়ামীলীগ সরকারে আসার পর ত্যাগী নেতাকর্মীরা একমাত্র নেতৃত্ব সংকটের কারনেই রাজপথ ছাড়তে বাধ্য হয় মামলার পাহাড় নিয়ে। কমিটির ব্যবসায়ীক নেতারা নিয়োজোঁ করে, কর্মসূচীগুলো নামক্ওায়োস্তে শরীক হলেও এরপর ড্রয়িং রুমেই আশ্রয় নেন নিরাপদে। সরকার বিরোধী কর্মসূচী পালনে বৈআইনী কর্মকান্ডের মামলায়, দলের পদবীহীন নেতাকর্মীরা হামলা-মামলার তটস্থ হলেও ব্যবসায়ীক নেতারা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। নেতার চিন্তার সাথে কর্মীর চিন্তাভাবনার বিস্তর ফারাকে সরকার বিরোধী কর্মসূচীতে অংশগ্রহনের আগেই অর্ধেক ভেঙ্গে পড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে দিয়ে দলে নিবেদিত কর্মী সমর্থক থাকার পরও বিএনপি রাজপথে ঘুরে দাড়াতে পারেনি। পদবী হীন ত্যাগী কর্মীরা দলের পরিচয়ে হামলায় মুখে এখন বিপন্ন। কিন্তু বহাল তবিয়তে রয়েছেন পদ আঁকড়ে থাকা ব্যবসায়ীক রাজনীতিক নেতারা।
সেই তুলনায় আ্ওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্বে তুলনামুলকভাবে এখনও রাজনীতিক নেতারা। কিন্তু আজ যুবলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল, ৩০ জুলাই জেলা যুবলীগের সম্মেলন কাউন্সিল ধারাবাহিক ভাবে আ্ওয়ামীলীগের কমিটি ও ছাত্রলীগের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে তোড়জোড় চলছে। সেই কমিটিতে প্রকৃত রাজনীতিকদের ঠেলে ব্যবসায়ী বা ব্যবসাীয় বান্ধব কথিত রাজনীতিকরা প্রতিযোগীতা শুরু করেছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ নিশ্চিতে । রাজনীতিক দক্ষতা বা অযোগ্যতা বিবেচ্য না হয়ে, টাকা খেলাতেই পদবী অলংকৃত করাতে কলকাটি নাড়ছেন একশ্রেনীর গ্রুপবাজ রাজনীতিক। এর মধ্যে দিয়ে পদবীধারীও তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকবেন, পকেটও গরম হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।