পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শেয়ারবাজার লুণ্ঠনকারীদের ব্যাপারে সরকার নিশ্চুপ কেন? তাদের বিচার হয় না কেন সে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক। লুণ্ঠনকারীরা আওয়ামী পরিবারের সদস্য অভিযোগ করে তিনি বলেন, একদিনে যে দেশে তিন হাজার কোটি, ১৫ দিনে ২৭ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে লুণ্ঠন হয়ে যায়, সেখানে সরকার নিশ্চুপ কেন? আমি বুঝতে পারি না? বসে থাকার কারণ একটাই, কারণ তারা তাদেরই পরিবারের সদস্য। তারা আইনকে তোয়াক্কা করে না, তারা গণতন্ত্রকে তোয়ক্কা করে না, বিরোধীদলকে তোয়াক্কা করে না। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত ‘শেয়ার বাজার লুটের প্রতিবাদে’ এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের সমালোচনা করে জয়নাল আবদীন বলেন, এই সরকার আইনের শাসনের সরকার নয়, তারা তো রাতের ভোটে সরকার। তারা বিনা বিরোধীদলের সরকার। যে সরকার বালিশ লুণ্ঠন করে, তোষকের টাকা লুণ্ঠন করে, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় না, তারা বিদ্যুতের দাম বাড়ালেই বা কি গ্যাসের দাম বাড়ালেই বা কি, কোনো কিছুই আসে যায় না। কারণ, তাদের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি নেই।
শেয়ারবাজার লুণ্ঠকারীদের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ফারুক বলেন, আজকে যিনি (খালেদা জিয়া) মাত্র দুই কোটি টাকা আত্মসাতের কাল্পনিক মামলায় পিজি হাসপাতালের একটি ছোট্ট রুমে চিকিৎসাধীন। ক্ষমতায় থাকার সময় এই নেত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমার দলের কেউ যদি এই গরিবের টাকা লুণ্ঠনের দায়ে অভিযুক্ত থাকে, আমাকে তার তালিকাটি দিন, আমি তাদের দল থেকে বের করে দেব। তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করব।
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,জনগণ আপনাদের কাছে জিম্মি নয়। কিছু প্রশাসনের কাছে জিম্মি। তাই জনগণের দাবি নিয়ে আমাদের রাজপথে নামতে হবে। কারণ, এই দাবি শুধু বিএনপি নয়, শেয়ারবাজারের টাকা খুইয়ে যারা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তাদের দাবি। এই দাবি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে কোনো লাভ নেই। যারা শেয়ারবাজার লুণ্ঠন করেছে, তারা এখনও বহাল তবিয়তে জাতীয় সংসদের সদস্য, তারা বহাল তবিয়তে ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি চালায়।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণের টাকা নিয়ে যারা হোলি খেলা খেলছে, কেন তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না? আপনি তাদের দল থেকে বের করে দিয়ে প্রমাণ করুন, আপনার সরকার বালিশের দ্বিগুণ দাম নেয় না, শেয়ারবাজার লুণ্ঠনকারীরা আপনার দলের নয়। সেটি আপনি দেখাবেন না। কারণ, জনগণের ভোটে আপনি নির্বাচিত নন। জনগণের কাছে তো আপনারা দায়ী নন। কারণ, জনগণ আপনাকে ভোট দেয় নাই।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের প্রচার সম্পাদক গোলাম সরোয়ার সরকারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, কৃষক দলের সদস্য মিয়া মো. আনোয়ার, মৎস্যজীবী দলের আহŸায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমূখ।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।