Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে সক্ষমতা

চট্টগ্রাম বন্দরে যোগ হচ্ছে

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

আরো ৪টি কি গ্যান্টি ক্রেন

চট্টগ্রাম বন্দরে যন্ত্রপাতির বহরে যোগ হচ্ছে আরও চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি)। ইতোমধ্যে এসব কিউজিসিবাহী বিশেষায়িত জাহাজ ‘এমভি ডিবু-৩’ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) ভিড়েছে।

গত বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আসা তিনটি করে ছয়টির সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন এ চারটি কিউজিসি। খুব শিগগির এ চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে কন্টেইনার ওঠানামা শুরু করা হবে। এর ফলে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে। জাহাজের গড় অবস্থানকাল অনেক কমে আসবে। বন্দরের রাজস্ব বাড়বে, পাশাপাশি সাশ্রয় হবে ব্যবহারকারীদের অর্থ ও সময়। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের সার্বিক আমদানি-রফতানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কন্টেইনার ওঠা-নামায় নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে চট্টগ্রাম বন্দর। প্রতিবছরই বন্দরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং বাড়ছে। আমদানি-রফতানির এ চাপ সামাল দিতে বন্দরের সক্ষমতা এবং গতিশীলতাও বাড়াতে হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় নতুন নতুন কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, রেল মাউন্ট্যান্ড গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ আধুনিক সব হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। আরও চারটি নতুন গ্যান্ট্রি ক্রেন বন্দরে পৌঁছেছে। যত দ্রæত সম্ভব এগুলো ফিটিং, ট্রায়াল শেষে অপারেশনে যুক্ত হবে। এর ফলে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের চিত্র আরও পাল্টে যাবে বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, আগে বন্দরে যে কিউজিসি ছিল সেগুলো ১৩ অ্যাক্রসের। এ চারটি ১৫ অ্যাক্রসের। ফলে নতুন এ চারটি কিউজিসি দিয়ে বড় জাহাজের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। জাহাজ থেকে রোল অনের (রেললাইনের ওপর দিয়ে) জেটিতে নামানো হবে কিউজিসিগুলো। এগুলোর কমিশনিং, ইনস্টলেশন, পরীক্ষামূলক পরিচালনা শেষে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে অপারেশন শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানান বন্দরের কর্মকর্তারা। দেশের এ প্রধান সমুদ্রবন্দরে গিয়ারলেস (ক্রেনবিহীন) জাহাজের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের আধুনিক ইক্যুইপমেন্ট কিউজিসি ছিল ১০টি। এর মধ্যে প্রথমে সিসিটিতে যুক্ত হয়েছিল ৪টি। এরপর এনসিটিতে যুক্ত হয় দুই দফায় ৩টি করে ৬টি। নতুন ৪টি কিউজিসি এনসিটি-১ ও ২ নম্বর জেটিতে যুক্ত করা হবে ২টি করে।

গত বছর এক হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ৬০টির অধিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে কন্টেইনার ওঠা-নামার কাজে ব্যবহৃত আধুনিক শিফট টু শোর কি গ্যান্ট্রি ক্রেন রয়েছে ছয়টি। এছাড়া আরটিজি, ফর্কলিফট, স্ট্রাডল ক্যারিয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করা হয় গেল বছর। বন্দরের প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে যন্ত্রপাতি সংগ্রহের পাশাপাশি ইয়ার্ড ও কন্টেইনার সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে প্রায় ৫০ হাজারের মতো কন্টেইনার রাখা সম্ভব হচ্ছে।

ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এর পাশাপাশি মেগা প্রকল্প বে-টার্মিনাল, লালদিয়ায় মাল্টিপারপাস কন্টেইনার টার্মিনাল ও কর্তফুলী কন্টেইনার টার্মিনাল এবং ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় লাইটারেজ জেটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দরের সক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাড়ছে। গেল অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৮ লাখ ৮ হাজার ৪৯৯ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে। কন্টেইনারে পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ ১৮ হাজার ৫১ মেট্রিক টন। তার আগের অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২৭ লাখ ৫ হাজার ৯০৯ টিইইউএস। আর কন্টেইনারে পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ১৮৭ মেট্রিক টন। কার্গো হ্যান্ডলিংও বাড়ছে। গেল অর্থবছরে ৮ কোটি ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩১ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং হয়। তার আগের অর্থবছরে যা ছিল ৭ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ৪৪৭ মেট্রিক টন।

 

 



 

Show all comments
  • ash ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৪:১০ পিএম says : 0
    DESHER DUTO BONDORKEI SHOMPURNO MODERN KORA WCHITH !
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ