রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের কেশবপুরের কৃষকরা মাঠে মাঁচায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। আর এ কারণে প্রতি বছর উপজেলার মজিদপুর গ্রামে মিষ্টি কুমড়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেশবপুর গ্রামের মাঠে মাঠে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হওয়া ব্যবসায়ীদের কাছে গ্রামটি মিষ্টি কুমড়ার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
সরেজমিন বাগদহা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে মাঁচায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ। বিশেষ করে, মাঁচায় চাষ করা কুমড়ার ক্ষেতে বাম্পার ফলন ধরায় কৃষকের মুখেও হাঁসির ঝিলিক বইছে। মাঁচায় মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত পরিচর্যা করার সময় কৃষক নূরুল ইসলাম গাজীর সঙ্গে কথা হলে জানান, তিনি গত তিন বছর ধরে এ চাষ করছেন। প্রথম বছর ১৬ শতক জমিতে চাষ করে ভাল ফলন পাওয়ায় এ চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠেন। পরের বছর চাষ বৃদ্ধি করে ভাল লাভবান হন। এবার তিনি ৫৬ শতক জমিতে চাষ করে বাম্পার ফলন করেছেন। মাঁচায় শত শত মিষ্টি কুমড়া ঝুলে পাকতে শুরু করায় ওই কৃষকের মুখে হাঁসি ঝিলিক। ক্ষেত পরিচর্যার সময় ওই কৃষক আরও বলেন, বাম্পার ফলনের কারণে এ বছর তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভ হবেন। একই গ্রামে কৃষক দ্বীন মোহাম্মদ গাজী, কামরুল ইসলামসহ প্রায় দেড়শতাধিক কৃষকের ক্ষেতেও মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়।
গ্রামের শিক্ষিত যুবক শামীম আখতার মুকুল বলেন, কৃষকরা মাঁচায় আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে সাড়া ফেলায় গ্রামটি ইতোমধ্যে মিষ্টি কুমড়ার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কৃষক নূরুল ইসলাম গাজী বলেন, তাদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রির জন্য হাটবাজারে নিয়ে যাওয়া লাগে না। ব্যবসায়ীরা ক্ষেতে এসেই কিনে নিয়ে যান। সে ক্ষেত্রেও কৃষকরা লাভবান হন। গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক কৃষক প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে এবার মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে সাড়া ফেলেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, মাঁচায় আধুনিক পদ্ধতির মিষ্টি কুমড়ার চাষ খুবই পরিবেশ বান্ধব। মাছি পোকা দমনের জন্য সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে যা পরিবেশ বান্ধব। এ চাষে কীটনাশক ব্যবহার ব্যবহার না করলেও চলে। মজিদপুর ইউনিয়নের বাগদহা গ্রামের এ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। যে কারণে প্রতিবছর ওই গ্রামটিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।