মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দীর্ঘ দিনের অচলাবস্থার পর অবশেষে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে ভেঙে দিলেন স্পিকার। মঙ্গলবার রাজ্যের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী আস্থা ভোটে হেরে গেলে তিনি গভর্নরের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
সরকারি সূত্রের বরাতে গণমাধ্যম ‘এনডিটিভি’ জানায়, মঙ্গলবার বিধানসভায় আস্থা ভোটে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের জোট সরকারের পক্ষে পড়েছে ৯৯টি ভোট। যেখানে ১০৫টি ভোট গিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষে। গত কয়েক সপ্তাহ যাবত সরকারের ১৬ জন বিধায়কের পদত্যাগ ও বিধানসভা থেকে দুজন নির্দলীয় নেতার সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফল এই ভোট বলে দাবি বিশ্লেষকদের।
এর আগে গত সপ্তাহ থেকেই কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোট হতে পারে বলে খবর আসছিল। যার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়; যদিও এর আগেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। দুজন স্বতন্ত্র বিধায়ককে জোট সরকারের পক্ষে ভোট প্রদানের জন্য দলে নেওয়ার চেষ্টা করে কংগ্রেস।
বিধানসভায় দেওয়া বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী এএইচডি কুমারস্বামী আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, ‘আমি বিশেষ করে এই বিতর্কের শেষ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই। এসবের থেকে ভালো, আমি খুশি মনে সব ছেড়ে দিতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমি সব সময়ই সৌজন্যতার সঙ্গে কাজ করেছি। গত ১৪ মাসে তারা জোটে থাকবেন না যাবেন তা নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। সব কিছুর মধ্যে পাশে থাকার জন্য আমি আমার দলের নেতাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই।’
এ দিকে আস্থা ভোটের জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হলেও ভোটের সময় ট্রেজারি বেঞ্চ ফাঁকা থাকতে দেখা যায়। এতে দুঃখের সঙ্গে বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশ কুমার বলেন, ‘এটাই কি বিধানসভার ভাগ্য ছিল? যা আমাদের হতাশ করেছে।’ এরপরেই সদ্য পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন, ‘আপনিও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন, তাই নিজের ক্ষমতা ছাড়ুন।’
বিশ্লেষকদের মতে, গত কিছুদিন যাবত কার্যত ‘রাজনৈতিক নাটকে’র পরিস্থিতি চলছিল কর্ণাটকে। তখন একাধিক বিধায়ক পদত্যাগ করলেও তাদের পদত্যাগপত্র প্রথমে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন স্পিকার। যদিও তারা তাদের অবস্থানে অনড় থাকলে শেষ পর্যন্ত সরকার তা মেনে নিতে বাধ্য হয়।
এর আগে ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রদেশটির মোট ২২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় ৮০টি এবং বিজেপির দখলে যায় বাকি ১০৫টি আসন। যদিও ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দলের (জেডিএস) ৩৭ জন সদস্য ও বহুজন সমাজ পার্টির একজন বিধায়ককে জোটে নিয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস।
অপর দিকে নির্বাচনের পর পরই সরকার গঠন করলেও প্রথম থেকেই জোট শরিকদের মধ্যে কোনো মতৈক্য ছিল না। যদিও এক রকম জোর করেই মুখ্যমন্ত্রী হন জনতা দলের এইচ ডি কুমারস্বামী। তবে রাজ্যটির লোকসভার ভোটে দারুণ সফলতা পায় ক্ষমতাসীন বিজেপি। তারা মোট ২৬টি লোকসভা আসনের মধ্যে এক চেটিয়াভাবে জয় পায় ২৪টিতে। অপর দিকে কংগ্রেস ও জনতা দল পায় মাত্র একটি করে আসন। মূলত এরপর থেকেই প্রদেশটিতে নিজেদের সরকার গঠনের চেষ্টা শুরু করে ক্ষমতাসীন এই দলটি।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো দলের ভরাডুবি দেখতে হয় কংগ্রেসকে। তাছাড়া সভাপতি রাহুল গান্ধী পদত্যাগ তো আছেই। যার প্রেক্ষিতে একের পর এক বড় নেতাদের দল ত্যাগ; সব মিলিয়ে কংগ্রেস এক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর এরই মধ্যে এলো এই দুঃসংবাদটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।