বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কালভার্ট-ব্রিজ নির্মাণের প্রকল্পের অধীনে ২ কোটি ৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৩৩ টাকা ব্যয়ে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় ৯টি কালভার্ট- ব্রিজ তৈরি করে লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে- ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ৮০ লাখ ৪০ হাজার ৮৪১ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ বা কালভার্ট তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের চক দানিয়ালগাছি রাস্তায় রিয়েল মাস্টারের বাড়ির পার্শ্বে প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩২ ফিট দীর্ঘ ও ১৪ ফিট প্রস্থের একটি ব্রিজ নির্মাণ, ধাইনগর ইউনিয়নের রানীনগর তেরচক গ্রামের রাস্তায় বুধুর বড়ির পার্শ্বে ১২ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৮ টাকা ব্যয়ে ১২ ফিট দীর্ঘ ও ১৪ ফিট প্রস্থের ব্রীজ, একই ইউনিয়নের চৈতন্যপুর গ্রামের রাস্তায় ১২ ফিট দীর্ঘ ও ১৪ ফিট প্রস্থের একটি ব্রীজ, মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া-তারাপুর গ্রামে মজিবুর রহমানের বাড়ির পার্শ্বে ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে উপজেলার ৫টি উপজেলার দূর্গম এলাকায় ১ কোটি ২৯ লাখ ১ হাজার ৮৯২ টাকা ব্যয়ে ৫টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে কানসাট ইউনিয়নের পুঠিমারী বিলের কাঠুরিয়া ক্যানেলের উপর ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩৮ টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মাণ, শ্যামপুর ইউনিয়নের কয়লার দিয়াড় গ্রামের সেভেন স্টার ভাটার পার্শ্বে ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৯ টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মাণ, শাহাবাজপুর ইউনিয়নের হুদমা গ্রামের এজাবুলের বাড়ির পার্শ্বে ১৩ লাখ ২৩ হাজার ২৫৮ টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মাণ, উজিরপুর ইউনিয়নের জর্দ্দারপাড়ার নাইমুলের বাড়ির পার্শ্বে ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৯ টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মাণ ও মনাকষা ইউনিয়নের কামাতপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমান মিস্ত্রির বাড়ির পার্শ্বে ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩৮ টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া দূর্লভপুর ইউনিয়নের কামার পাড়া এলাকায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ছোট একটি ব্রীজ ও সংযোগ রাস্তা বিশ্বনাথপুর এলাকায় ব্রীজ ও সংযোগ রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে ওই এলাকায় মানুষের ৪ যুগের স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। দূর্লভপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজিব রাজু জানান, কামারপাড়া রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণ ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের প্রাণের দাবি ছিল যা স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাস্তবায়ন হলো।
কানসাট ইউনিয়নের পুঠিমারী বিলের কাঠুরিয়া ক্যানেলের উপর ব্রীজ নির্মাণ প্রসঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনু মিঞা বলেন- এ ব্রীজটি নির্মানের মধ্য দিয়ে এপার-ওপারের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘ দিনের আকাঙ্খা পুরন হয়েছে এবং সাবির্ক ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন- উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে ইউপি চেয়ারম্যানগণ নিজ নিজ এলাকার সমস্যবলী তুলে ধরার পর আমি নিজে পরিদর্শনে গিয়ে সমস্যবলী চিহ্নিত করি এবং অধিক গুরুত্বপূর্ন সমস্যগুলির মধ্যে এ ৯টি ব্রীজ নির্মানে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন পক্ষের সুদৃষ্টির জন্য তুলে ধরি। তারই প্রেক্ষিতে এ ব্রীজগুলো নির্মান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন- এ ব্রীজগুলো দূর্গম এলাকায় নির্মান হওয়ায় এক ইউনিয়নে মানুষের সাথে আরেক ইউনিয়নের মানুষের বা এক এলাকার মানুষের সাথে অন্য এলাকার মানুষের এমনকি কৃষি কাজে যাবার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ায় এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেন- শিবগঞ্জের প্রত্যান্তাঞ্চলে আরো অনেক সমস্য রয়েছে যেগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।