পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
জনগণের দুর্দশা লাঘবের উদ্দেশ্যেই জমিদারী প্রথা বিলোপ করা হয়েছিল। কিন্তু জনগণের দূর্দশা কি দূর হয়েছে? জমিদারদের লাঠিয়াল বাহিনীর কষাঘাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বিনা বাধায় প্রজারা ভিটামাটি ছেড়ে দিতো, শুধু তাই নয়, বরং জমিদারদের আদেশই শিরোধার্য মনে করতে হতো। কোলকাতার বিখ্যাত পতিতালয়ের কোন কোন পতিতা-নর্তকী জমিদারদের জন্য রিজার্ভ রাখতে হতো এবং সোনাগাজী পতিতালয়ে কে কতটাকা উজার করে দিতো তার উপরই নির্ভর করতো তার (জমিদার) মানদন্ড। এছাড়াও জমিদারদের নিজ বাড়ীতে তো স্থায়ী রঙ্গমঞ্চের ব্যবস্থা ছিল। জমিদারদের একমাত্র দায়িত্ব ছিল রাজা মহারাজা, পরবর্তীদের ইংরেজদের মনোরঞ্জন। বৃটিশদের মনোরঞ্জনের জন্য জমিদাররা খাজনাতো দিতোই, অধিকন্তু দামী উপঢৌকনের মধ্যে নিজ জমিদারিত্বের সুন্দরী ললনারাও উপঢৌকনের ঢালার মধ্যে রাখা হতো শুধুমাত্র ইংরেজ প্রভুদের খুশী রাখার জন্য। এছাড়াও জমিদারদের সীমাহীন অমানুষিক অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপিড়নের কাহিনী শুনলে এখনো মানুষের গা শিউরে উঠে। “আমাদের জাতি সত্তার বিকাশ ধারা” বইতে (পৃষ্ঠা ৩১-৩২) “জমিদারী” প্রথা সম্পর্কে মোহাম্মদ আবদুল মান্নান লিখেছেন যে, “কৃষকদের কাছ থেকে যত খুশি খাজনা ও কর আদায় করে তার একটি নির্দিষ্ট অংশ ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য এক নতুন জমিদারশ্রেণী সৃষ্টি করা হয়। এই জমিদারদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ের জন্য ইংরেজরা বাংলা ও বিহারের নিষ্ঠুরতম দস্যু সরদারদেরকে নাজিম নিয়োগ করে। নাজিম নামক এই দস্যুদের অত্যাচার ও লুন্ঠন সম্পর্কে কোম্পানীর দলিলপত্র থেকেও জানা যায়। বাংলা ও বিহারের রাজস্ব কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ১৭৭২ সালের ৩ নভেম্বর ইংল্যান্ডে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বোর্ড অব ডাইরেক্টরসকে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন নাজিমরা জমিদার ও কৃষকদের কাছ থেকে যত বেশী পারে কর আদায় করে নিচ্ছে। জমিদাররাও নাজিমদের কাজ থেকে চাষীদের লুন্ঠন করার অবাধ অধিকার লাভ করেছে। নাজিমরা আবার তাদের সকলের (জমিদার ও কৃষকদের) সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার রাজকীয় বিশেষ অধিকারের বলে দেশের ধন-সম্পদ লুট করে বিপুল সম্পদের অধিকারী হয়েছে। ১৭৬৫-৬৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর সে বছরই তারা প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ২ কোটি ২০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সে আদায়ের পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়।” ইংরেজদের রাজস্ব নীতি ও ভ‚মি ব্যবস্থা সস্পর্কে সুপ্রকাশ রায় লিখেছেন “এই সকল ব্যবস্থার ফলে চাষীদের পিঠের ওপর বিভিন্ন প্রকারের পরগাছা শোষকদের একটা বিরাট পিরামিড চেপে বসে। এই পিরামিডের শীর্ষদেশে ইংরেজ বণিকরাজ, তার নীচে বিভিন্ন প্রকার উপস্বত্বভোগীর দলসহ জমিদারগোষ্ঠী। এই বিরাট পিরামিডের চাপে বাংলা ও বিহারের অসহায় কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে অনিবার্য ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়ায় (সূত্র: ভারতের কৃষক বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পৃ”১০)।” প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও জমিদারী বিলুপ্ত হয় নাই বরং পদ্ধতি ও নামের পরিবর্তন হয়েছে মাত্র, কিন্তু জমিদারী এখনো রয়েছে বিদ্যমান যাদের প্রধান খাদ্য জনগণের রক্ত। জমিদারী চরিত্রে ব্যতিক্রম যা ছিল, তা মাইক্রো দৃষ্টিতে দেখার মত।
মাঝে মাঝে “প্রকৃতি” সত্যকে প্রকাশ করে। সীমা যখন লংঘিত হতে থাকে তখন সৃষ্টিকে রক্ষার জন্য “প্রকৃতি” সত্যকে প্রকাশ করে সমাজ ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষা করে, নতুবা বহু পূর্বেই সামাজিক ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে যেতো। এমনি একটি অতীব সত্য প্রকাশ পেয়েছে মহামান্য হাই কোর্টের বক্তব্যে। জনাব বিচারপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং জনাব বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন ব্যাঞ্চ ৯ই জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে পুলিশ কর্মকর্তা ও.সি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিনের শুনানীতে মন্তব্য করে বলেন যে, “কিছু কিছু ওসি-ডিসি নিজেদের জমিদার মনে করে” (সূত্র: জাতীয় পত্রিকা তাং- ১০/৭/২০১৯ ইং)। বিচারপতিদ্বয়ের এ মন্তব্য যেন শুধু বিচার বিভাগের উপলব্দি নহে বরং এটা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বোবা কান্নার বহিঃপ্রকাশ। বৃটিশের আদলে সৃষ্টি ডি.সি-এস.পি ও ও.সির পদ ধারীদের আইনের দৃষ্টিতে ক্ষমতা অপরীসীম। জমিদাররা জমিদারী চালাতো নায়েব ও লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা। বৃটিশ জেলা প্রর্যায়ে প্রধান কর্মকর্তাদের নাম ছিল ডিস্ট্রিক কালেক্টর পর্যায়ক্রমে যা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে রূপান্তর ঘটানো হয়। জেলা প্রশাসকই জেলার প্রধান রাজস্ব আদায়ের কর্মকর্তা অর্থাৎ ডিস্ট্রিক কালেকটর এবং সে পদ এখনো বিদ্যমান রয়েছে। মহান স্বাধীনতার পর সংবিধানের ৭(১) অনুচেছদ মোতাবেক জনগণকে রাষ্ট্রের মালিক এবং ২১(২) অনুচ্ছেদ মোতাবেক “সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য” বলে সাংবিধানিক বিধান সৃষ্টি করা হয়েছে, তবে এখন সেবার পরিবর্তে চলছে অপশাসন। জনগণের অর্থে লালিত রাজকর্মচারীরা এখন শুধু সেবা করে একতরফা নির্বাচিত এম.পি মন্ত্রী ও তাদের দোসরদের মনোরঞ্জন করাই আমলাদের প্রধান ও মুখ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করে। বিচার বিভাগের উপর সরকারের অনেক প্রভাব (বিশেষ করে রাজনৈতিক মোকদ্দমায়) এখন শুধুমাত্র অনুমান নহে বরং অভিযোগ আকারে প্রকাশিত হচ্ছে, এ অভিযোগ শুধু সরকারের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নয় বরং গোটা সমাজের। তারপরও হাইকোর্ট আছে বলেই সরকারের প্রতিপক্ষরা নি:শ্বাস নিতে পারছে, নতুবা সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে এমন আইন পাশ করা হতো, যাতে বিরোধীরা নি:শ্বাস নিতে না পারে এবং এ জনবিরোধী আইন কার্যকর করার দায়িত্ব নিতো ডিসি, এস.পি ও ও.সি’রাসহ রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় আমলারা এবং জনবিরোধী আইনের গ্রহণযোগ্যতার সম্পর্কে গান গাইতো এ দেশের বক-ধর্মী বুদ্দিজীবী সমাজ যারা ভাড়ায় খাটে।
জনগণের যে সঙ্গা, আমলাদের দৃষ্টিতে সর্বস্তরের গণমানুষ সে আওতায় আসে না। আমালাদের প্রমোশন ও লোভনীয় স্থানে পোস্টিং যাদের উপর নির্ভর করে ছলে বলে কৌশলে তাদের আজ্ঞাবহ থাকাটাও আমলাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। জয়পুর হাট প্রেস ক্লাবে ১৩/৭/২০১৯ ইং তারিখে গণফোরাম আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ যথার্থই বলেছেন যে, “বর্তমান আমলারা নিজেদের অনিয়ম, দুর্নীতি ঢাকতেই বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে ব্যবসা শুরু করেছে। তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী না হয়ে দলীয় কর্মচারী হিসাবে কাজ করছে” (সূত্র জাতীয় পত্রিকা, তাং-১৪/৭/২০১৯ ইং)। আমলারা সর্বকালের সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ সুবিধাবাদী ও সুবিধাভোগী। তারা এ দেশের গণমানুষকে কৃতদাস মনে করে, যেমনটি মনে করতো বৃটিশরা।
সংবিধান (পঞ্চাদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪নং আইন) এর ১২নং ধারা বলে সংবিধানে ১৮ক অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত করা হয়েছে যাহাতে বলা হয়েছে যে, “রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষন ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভ‚মি, বন ও বন্য প্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।” সংবিধানে জলাভ‚মি সংরক্ষণের জন্য স্পষ্ট বিধান থাকলেও কতিপয় ভ‚মিদস্যু রাজধানীর আশে পাশে বিশেষ করে রূপগঞ্জ উপজেলার ফসলী জমি ও জলাভূমি আবাসন প্রকল্প করার জন্য প্রকৃত মালিকদের নিকট থেকে ক্রয় না করেই বালু দ্বারা ভর্তি করে ফেলছে। জেলা প্রশাসক, এস.পি, ও.সি’দের নিকট জনগণ ভ‚মিদস্যুদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়েও প্রতিকার পাচ্ছে না। উপায়ন্ত না দেখে নিজস্ব ফসলী জমি ও জলধার রক্ষার্থে হাইকোর্টের শ্বরন্নাপন্ন হলে উচ্চ আদালত জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকারের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিলেও কৃষকদের পক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যত: কোন ভ‚মিকা গ্রহণ না করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভূমিদস্যুদের সাহায্য সহযোগিতা করছে এবং তা করছে নিশ্চয় কোন বিনিময়ে। আইন লঙ্গন করা যেমন অপরাধ, দায়িত্বের অবহেলাও অনুরূপ দন্ডনীয় অপরাধ। আমলারা যখন দায়িত্বে অবহেলা করে তখন সাধারণত কোন জবাবদিহিতার আওতায় পড়ে না বিধায় তারা বিনা বাধায় স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছে।
আমলাদের নিকট জনগণের পাশাপাশি সরকারও জিম্মি হয়ে পড়েছে। কারণ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আমলাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমলারা এই প্রশ্রয় পেয়ে একদিকে অপশাসনের প্রয়োগ অন্যদিকে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সরকার বাধ্য হয়ে আমলাদের স্বেচ্ছাচারিতার স্পেস দিচ্ছে। ফলে জনগণের অসহায়ত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে তারাই সুখে শান্তিতে আছে যারা আমলাদের দৃষ্টিতে সরকারের ঘরনার পায়বন্দ বা খয়ের খা।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ১৫/৭/২০১৯ ইং তারিখে জলাশয় ভরাট না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নির্দেশ প্রদান করেছেন, কিন্তু সে নির্দেশও কার্যকর করছে না জেলা প্রশাসকগণ। ফলে এতে এটাই প্রতিয়মান হয় যে, ওসি-ডিসিরা নিজেদের জমিদার মনে করে বলে হাইকোর্টের মন্তব্য যথার্থ ও ভুক্তভোগীদের হৃদয় নিংরানো উপলব্দি।
পূর্বেই বলেছি যে, “প্রকৃতি” ভারসাম্য রক্ষা করে বলেই শত প্রতিকুলতার মধ্যেও সমাজ টিকে আছে। দেশ ও জাতি যখন বিপর্জয়ের মধ্যে পড়ে, যখন দেশের গণমানুষ সরকারের নিকট কোন প্রকার সাংবিধানিক আশ্রয় পায় না, সরকার নিজেই যখন জনগণের অধিকার ছিনতাই করে, জনগণের কন্ঠরোধ করে তখন গণমানুষ বুদ্দিজীবি তথা সুশীল সমাজের দিকে তাকিয়ে থাকে। বক-ধর্মী বুদ্দিজীবিরা সংখ্যাধিক্য হওয়ার কারণে এখন তাদের সমালোচনাও করা যায় না। তারা মূখে বলে রাজনীতি করি না বা সরকারী দল করি না। কিন্তু সরকারের অবৈধ কাজকে বৈধ করার জন্য যতটুকু চাটামী করার প্রয়োজন তার চেয়ে একটু বেশী করে। বিনিময়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন সরকারী পদ পদবী দখল করার সুযোগ পেয়েছে। বুদ্দিজীবি ও সুশীলদের জনগণের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় না। বরং গভীর রাত্রের নির্বাচনকে বৈধ করার সকল মতবাদ প্রচার প্রচারনায় নিজেদের ব্যস্ত রেখেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নাস্তিকতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ ধারনা দিচ্ছে। বহুবার ভারত থেকে প্রচারিত চরিত্র বিধ্বংসী টি.ভি সিরিয়ালের বিরুদ্ধে বুদ্দিজীবীদের কোন রা নাই বরং যারা ভারতীয় আগ্রাসনবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে বা কলম ধরে তাদের বিরুদ্ধে একট্টা হয়ে যায়। অন্যায় বিচার বা স্বৈরতন্ত্রের কোন প্রকার প্রতিবাদ নাই। জাতি যেন দিনে দিনে বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতে পরিণিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীন শিক্ষক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন “সুশীল সমাজ সরকারের চামচাগিরি ও মীরজাফরী করছে।” বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় সত্যকে প্রকাশ করা যায় না। অধ্যাপক চৌধুরী শুধু সত্যকে প্রকাশ করেন নাই, তিনি বাস্তব সম্মত একটি কঠিন বাক্য উচ্চারন করেছেন যা দীর্ঘ দিন এ দেশের অসহায় মানুষ মনে প্রাণে লালন করেছে, তাই স্যালুট জানাই অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে যিনি সত্যের মূখোমুখি দাড়িয়েছেন, অকপটে জনমানুষের হৃদয় নিংরানো অফুটন্ত ভাষাকে প্রকাশ করেছেন। দেশের প্রকৃত জমিদার ওসি ডিসিদের সম্পর্কে বাস্তব সম্মত কর্মকান্ড ও ভ‚মিকা সম্পর্কে হাইকোর্টের উপলব্দি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদ্বয়কেও সালাম। জাতি বিচার বিভাগ বিশেষ করে উচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু কিছু কর্মকান্ডে যখন জনগণ হতাশ হয় তখন শেষ আশ্রয় খুঁজে পাওয়ার কোন স্থান বা অবস্থান থাকে না। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিকট থেকে কঠিন সত্য কথা শুনতে পায় তখন ক্ষত বিক্ষত এ জাতির মনে অবশ্যই আশার সঞ্চার হয়। আশাহত না হয়ে আশান্বিত হওয়ার সংস্কৃতি অব্যাহত থাকে।
লেখক: কলামিস্ট ও আইনজীবি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।