পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
দেশের উত্তরাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যায় বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, স্থাপনা, মাঠ-ঘাট তথা সবকিছু তলিয়ে গেছে। তাতে জানা-মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, বৃহত্তর রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার কিছু অংশ এবং জামালপুর ও সিলেটে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ৩৫০ কিলোমিটার লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পলী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। এতে করে সাত জেলার ৩১ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আরইবি বলছে, মানুষ এবং গবাদিপশুর জীবন রক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পানি রেল লাইনের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ লাইনের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বান্দরবান জেলায়ও পাহাড়ের মধ্যে ব্যাপক বন্যা ও জলাবদ্ধতায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেশে কয়েকদিন যাবত লাগাতর ব্যাপক বৃষ্টির জন্যই এই ভয়াবহ বন্যার দ্বিতীয় কারণ। এই ব্যাপক বৃষ্টিতে ঢাকা শহরের বেশিরভাগ এলাকা ও চট্টগ্রাম শহরের সমগ্র এলাকাও অথৈই পানিতে তলিয়ে গিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিঘিœত হয়েছিল। এই জলাবদ্ধতা নিরসন করার জন্য ইতোপ‚র্বে বহু হাঁক-ডাক শোনা গেছে। এমনকি বিপুল অর্থ ব্যয়ের অনেক প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সব কিছুর ফলাফল শ‚ন্য। অন্যদিকে, এই ব্যাপক বৃষ্টির কারণে পণ্যম‚ল্য আরও বেড়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের লাগামের বাইরে চলে গেছে! দেশের উত্তরাঞ্চলের চলতি ভয়াবহ বন্যার প্রথম কারণ হচ্ছে-ভারত থেকে ধেয়ে আসা ব্যাপক পানি। স¤প্রতি ভারতের আসাম, বিহার জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হয়েছে। ভারতের উক্ত এলাকার ব্যাপক বন্যার কারণ হচ্ছে: নেপাল, ভুটান ও চীনে ব্যাপক বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এ বন্যায় নেপালে শতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটেছে। ভারতেও প্রায় তাই। এই বর্ণিত স্থানসম‚হ থেকে ব্যাপক পানি এসেছে বাংলাদেশে। আর সেই পানিতেই এ দেশে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে উত্তরাঞ্চলে। এ ব্যাপারে গত ১৬ জুলাই ইরান বেতারের খবরে প্রকাশ, ‘সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা। জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট এলাকার যমুনার পানি বিপদসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটারে ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার তথ্য রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ১৯৮৮ সালের বন্যায় যমুনার সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১২১ সেন্টিমিটার আর ২০১৭ সালে এটা ছিল ১৩৪ সেন্টিমিটার। এদিকে ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উত্তরের জনপদে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। উজানে ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুসে উঠছে উত্তর ও উত্তর-প‚র্বাঞ্চলের নদ-নদী। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকা প্লাবনে ভাসিয়ে দিয়ে বন্যা এখন বিস্তৃত হচ্ছে দেশের মধ্যাঞ্চলেও। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। কোন কোন জেলায় তীব্র হয়ে উঠছে নদী ভাঙন। ইতিমধ্যে দেশের অন্তত ২৩টি জেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ। বাড়িঘরে পানিতে ডুবে যাওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন আর গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন নিকটবর্তী উঁচু বাঁধে। অনেকই ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুল-কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনে। বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যমুনা তীরবর্তী জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, বাসভবন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়সহ সব সরকারি অফিস এখন বন্যায় ছয়লাব। এরইমধ্যে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে পানি উঠায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে’। অপরদিকে, একই দিনে রয়টার্সের খবরে প্রকাশ, ‘ভারি বৃষ্টিপাতে গত ১০ দিনে দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যা ও ভ‚মিধ্বসে কমপক্ষে ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অর্ধশতাধিক। আহত হয়েছে অনেক মানুষ। এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে নেপালে। দেশটিতে অন্তত ৭৮ জন মারা গেছে। ১৬ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের আসাম, বিহার, অরুণাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও ত্রিপুরায় প্রায় ৬০ লাখ মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরেও বন্যা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি একদিনে পাঁচ শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ নিয়ে এবারের বন্যা ও এ-সংক্রান্ত দুর্যোগে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে’। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট এলাকার সব নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বন্যার প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পাবে। উপরন্তু সংশ্লিষ্ট নদীগুলোর ভাটিতেও বন্যা শুরু হয়ে গেছে। স্মরণীয় যে, এটাই এবারের প্রথম বন্যা। এ ধরনের আরও দু’টি বন্যা হতে পারে বলে আবহাওয়ার প‚র্বাভাসে বলা হয়েছে।
দেশের চলতি বন্যার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার বেশিরভাগ বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ফসল, মাছ ও স্থাপনা অথৈ পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই সব শিক্ষাঙ্গনে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র উঁচু অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকের কোমর সমান পানি পাড়িয়ে শিশু কিংবা পশু ঘাড়ে নিয়ে যাওয়ার কিংবা ঘরের চালে আশ্রয় নেয়ার সচিত্র প্রতিবেদন দেশী-বিদেশী মিডিয়াসম‚হে ফলাও করা প্রকাশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরকারি কিংবা বেসরকারি অথবা সাধারণ মানুষের সাহায্য করার কোন খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু বন্যার্ত মানুষদের সাহায্য করা কি সরকারের নৈতিক দায়িত্ব নয়? কিংবা বেসরকারি সংস্থা ও পাবলিকের মানবিক দায়িত্ব নয়? নিশ্চয়। দ্বিতীয়ত: দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তথা জলোচ্ছ্বাসপ্রবণ এলাকার মতো যদি দেশের বন্যাপ্রবন এলাকায় প্রয়োজনীয় আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হতো, তাহলে মানুষের কি এতো দুর্ভোগ হতো? হতো না।
বন্যা কমে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সংকট সৃষ্টি হবে। আর সেটা হচ্ছে: ব্যাপক রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়া, নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়া, ভাঙ্গা রাস্তা-ঘাট ও স্থাপনা মেরামত করা, গরীব মানুষ ও কৃষকদের পুনর্বাসন করা ইত্যাদি। এসব সংকট বন্যা কমে যাওয়ার অনতি বিলম্বে মোকাবেলা করতে হবে। নতুবা নতুন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। নতুন সংকট যেন সৃষ্টি না হয়, সে জন্য বন্যা দুর্গত এলাকায় সব হাসপাতাল ও ক্লিনিককে সম্ভাব্য সৃষ্ট রোগব্যাধি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত করা দরকার। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহেরও ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সর্বোপরি অস্থায়ী জরুরী স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা যেতে পারে। যাতে পানি বাহিত ব্যাধি মোকাবেলা করা যায় তাৎক্ষণিকভাবেই। এছাড়া, রাস্তা-ঘাট ও স্থাপনাগুলো খুব দ্রুত মেরামত করা দরকার। এ ক্ষেত্রে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মস‚চি ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ, এটা করা হলে যেমন কাজের উন্নতি হবে, তেমনি গরীব মানুষের কাজ করে দিনাতিপাত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দ্বিতীয়ত: বন্যা দুর্গত এলাকা ম‚লত: কৃষি নির্ভর। কিন্তু আমন রোপণের ভরা মওসুমে এই বন্যায় রোপিত ফসল ও চারা সব ডুবে গেছে। পুনরায় এসব করার মতো সামর্থ্য নেই বেশিরভাগ কৃষকের। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে বীজ, সার ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা আবশ্যক। অতি গরীব মানুষের বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে দেওয়াও দরকার। এসব ক্ষেত্রে এনজিওগুলোর কার্যক্রম আবশ্যক।
কয়েকদিন লাগাতর ব্যাপক বৃষ্টির কারণে সারা দেশের বহু রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। এতে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের ব্যাপক অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় পবিত্র কুরবানি আসন্ন। এই ঈদের কারণে মানুষ ও পশুর চলাচল অনেক বেড়ে যাবে। কিন্তু ভাঙ্গা রাস্তা-ঘাট যদি মেরামত করা না হয়,তাহলে মানুষ ও পশু চলাচলে ব্যাপক অসুবিধা সৃষ্টি হবে। এমনকি দুর্ঘটনাও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ভাঙ্গা রাস্তা-ঘাটগুলো খুব দ্রæত মেরামত করা আবশ্যক। এবার বান্দরবনে ব্যাপক বন্যা ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে বৃষ্টির পানি নামতে না পারা। আর বৃষ্টির পানি নামতে না পারার প্রধান কারণ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার নদী-নালাসম‚হ দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে বলে বিবি-সির খবরে বলা হয়েছে। একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকাতেও। ঢাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে: বেশিরভাগ খাল দখল করে বাড়ি-ঘর ও নানা স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। কিন্তু উচ্চ মহলের এ ধরনের বক্তব্য এটা নতুন নয়। বহু পুরাতন কথা। তাই মানুষ আর এই সংকটের কথা কিংবা অন্য কোন পুরাতন সংকটের কথা শুনতে অনিচ্ছুক। মানুষ চায় সংকট সমাধান এবং তা যে কোন পথেই হোক না কেন। এ ক্ষেত্রে মানুষের সহায়তা চাইলে মানুষ সহায়তা করতে সদা প্রস্তুত। তাই অনতি বিলম্বে ঢাকার সব খাল পুনরুদ্ধারের জন্য ডাইরেক্ট অ্যাকশন শুরু করা আবশ্যক। একই ব্যবস্থা সারাদেশেও গ্রহণ করা যেতে পারে। স্মরণীয় যে, স্বাধীনতা উত্তর থেকে আইনের শাসন ঠিকভাবে কার্যকর না হওয়ার কারণে দেশে প্রায় সব ক্ষেত্রেই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার প্রধান উপায় হচ্ছে আইনগত কঠোর শাসন এবং তা অতি নিরপেক্ষভাবে। শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে: ব্যাপকহারে অপচনশীল পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার। কারণ, এসব ড্রেনের মধ্যে থেকে পানি যেতে বাধা সৃষ্টি করে। তৃতীয় কারণ হচ্ছে: ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়া। ফলে বৃষ্টি বা বন্যার পানি দ্রুত নামতে পারে না। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই এসব সংকট দ‚র করতে না পরলে খাল পুনরুদ্ধার ও পুনঃখনন করা হলেও তেমন কোন সুফল পাওয়া যাবে না। কারণ, খালের পানিকে তো ড্রেন দিয়েই নামতে হবে।
বর্ষা মওসুমে দেশে,বিশেষ করে ঢাকায় এডিস মশার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। তা থেকে শুরু হয় ডেঙ্গুর সংক্রমণ। এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ডেঙ্গুতে। তন্মধ্যে অনেকের মৃত্যুও ঘটেছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের গাপ্পু মাছ ও অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ ফরমূলা কাজে লাগেনি। আর এ ধরনের অকার্যকর থিউরি কাজে লাগারও কথা নয়। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক কলেরা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রচলিত মশা মরার ওষুধে কাজ হচ্ছে না। তাই অন্য কার্যকর ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যদিকে, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এ নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত ৪২৪৭ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। তাই বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘এবার শকড সিনড্রম বেশি হচ্ছে। এর আগে আমরা দেখেছি হেমোরেজিক ডেঙ্গু। শকড সিনড্রম-এ শরীরে পানি কমে যায়, তাপ বেড়ে যায়, হার্ট বিট কমে যায়, ব্লাড প্রেসার কমে যায় এবং রোগী জ্ঞান হারাতে পারে। ফুসফুস এবং পেটে পানি জমে। হেমোরেজিক ডেঙ্গুতে রক্তক্ষরণ হয়, শরীরে র্যাশ ওঠে, তাপমাত্রা ১০৪ থেকে ১০৫ হয়। এটার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ পরিচিত। তাই সে বুঝতে পারে কী করতে হবে। কিন্তু এবারের ডেঙ্গুতে তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি, র্যাশ দেখা যায় না, রক্তক্ষরণও হয় না। ফলে অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত বা গুরুত্ব দেন না। জ্বর চলে যাওয়ার পরে প্লাটিলেট ভেঙ্গে ব্লাডপ্রেসার কমে কলাপস করে। ফলে এবার মৃত্যুর হার বেশি।’
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।