পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে ধর্ষণের উৎসব চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত আমার মা-বোনেরা কেউ রেহাই পাচ্ছে না। তারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না নিরাপত্তার অভাবে। এ দেশে মহিলা পরিষদসহ যেসব সংগঠন আছে, এক সময় তারা একটা ধর্ষণের জন্য সারাদেশ তোলপাড় করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এখন তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল (শনিবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতীকী অনশনে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের বর্তমান সঙ্কটের কথা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, শিক্ষকরা রাস্তায় পেটের তাগিদে, সাংবাদিকদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই, শ্রমিকের শ্রমের মূল্য নেই। আদালতে গিয়ে বিচারকের সামনে সন্ত্রাসীরা খুন করছে। এ দেশে পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা সব কিছু ভেঙে পড়েছে। এ দেশে স্বাভাবিক কোনো নির্বাচন হয় না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পৌরসভা, উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনই স্বাভাবিকভাবে হয় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পরিবর্তনের জন্য যে নির্বাচন সেই নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। এটা যদি থেকে যায় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছিল, এটা আমরা ভুলে যাবো। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছিল ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছিল, এটা মিথ্যা হয়ে যাবে যদি এই সরকার ক্ষমতায় থাকে।
গণতন্ত্র এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন শুরু হয়েছে জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গণতন্ত্র এবং বেগম জিয়াকে মুক্ত করেই আমরা ঘরে ফিরব। তিনি বলেন, আন্দোলন শুরু হয়েছে নেত্রীকে মুক্ত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে এ দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আমরা ঘরে ফিরব।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভাবতে কষ্ট হয় যে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অ্যারিস্টটল, বাংলাদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, যিনি বাংলাদেশের গণমানুষের কাজ করার জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যিনি নারী শিক্ষা ক্ষেত্রকে বিশেষ স্থানে নিয়ে এসেছেন, ক্ষমতার বাইরে থেকেও যিনি এ দেশের মেহনতি মানুষ ও কৃষকদের জন্য কাজ করেছেন। তাকে একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলায় তথাকথিত বিচারের নামে একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বন্দি করে রেখেছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এবং এই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার যারা সহ্য করেছেন, তাদের জন্য ইতোমধ্যে বিএনপি রাস্তায় নেমেছে। এই রাস্তার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য বরিশালে আমরা সমাবেশ করেছি। চট্টগ্রামে সমাবেশ হয়েছে। ২৫ তারিখে হবে খুলনায়। পর্যায়ক্রমে সব বিভাগে হবে। তারপর সব জেলায় সমাবেশ করা হবে। এই আন্দোলন শুরু হয়েছে নেত্রীকে মুক্ত করে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনে গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তবেই আমরা ঘরে ফিরব। এ সময় তিনি বলেন, আসুন শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নয় এ দেশে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আসুন আমরা রাস্তায় নামি।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবির মুরাদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুল্লাহ হিল মাসুদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, সংগঠনের মহাসচিব ড. মমতাজ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, কৃষকদলের সদস্য লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।