পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইজিবাইক থেকে নামিয়ে প্রথমে ধর্ষণ পরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এমন ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুরে। অভিযুক্ত চালক সাজ্জাদকে আটক করেছে র্যাব। ১৯৯২ সালে এক শিশু হত্যা মামলায় সাজ্জাদ দীর্ঘ ১৮ বছর কারাভোগের পর ফের ধর্ষণ করে হত্যা করলেন বলে জানান র্যাব-৮ এর কামান্ডিং অফিসার আতিকা ইসলাম ।
গতকাল সকালে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের তিনি আরো জানান, গত ১৩ জুলাই মাদরাসাছাত্রী দীপ্তির লাশের পরিচয় পাওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে র্যাব-৮ এর মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। লাশ উদ্ধার হওয়া পরিত্যক্ত পুকুরে গত বৃহস্পতিবার আবার তল্লাশি করে র্যাব। সেখান থেকে একটি ব্যাগে দীপ্তির পোশাক, স্যান্ডেল ও ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরে র্যাব তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডভোগী ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ইজিবাইক চালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানের জড়িত হওয়ার সন্দেহ হয়। তাই সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ র্যাবের কাছে দীপ্তিকে ধর্ষণ ও হত্যা করার কথা স্বীকার করে।
সাজ্জাদ হোসেনের স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে আতিকা ইসলাম জানান, নিহত দীপ্তি গত ১১ জুলাই বোনের বাসা থেকে শহরের চরমুগরীয়ায় চাচার বাসায় যাওয়ার জন্য ইটেরপোল এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে ওঠে। ইজিবাইকে আর কোন যাত্রী না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টি থাকায় চালক সাজ্জাদ দীপ্তিকে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দীপ্তিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। পরে লাশটি গুম করার জন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে কয়েকটি ইটসহ দীপ্তির পোশাকবিহীন লাশটি বেধে পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেয়। দুই দিন পর লাশটি ভেসে উঠলে দীপ্তি হত্যার ঘটনাটি সামনে চলে আসে।
উল্লেখ্য, ১৩ জুলাই মাদারীপুরের পূর্ব খাগদি এলাকার একটি পরিত্যাক্ত পুকুর থেকে নগ্ন ও বিকৃত অবস্থায় এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরের দিন দীপ্তির বাবা হাসপাতালে এসে লাশটি তার মেয়ে দীপ্তির বলে নিশ্চিত করে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।