Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্মাণের পরপর দেবে গেছে সড়ক

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

অনেক দুর্ভোগ আর দুঃখ কষ্টের পর মীরসরাই-ফটিকছড়ি সংযোগ সড়কের মীরসরাই অংশের আমবাড়িয়া ব্রিজটি পেয়েছে এলাকাবাসী। রাস্তাটির নির্মাণের মাত্র কয়েক মাস হয়েছে। এখনি দেবে গেছে দু’পাশ। আরো বিশাল অংশ ধসে যাবার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসি।

সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয় জনগনের অভিযোগ ও ভুক্তভোগি এলাকাবাসী জানান, আমরা অনেক বছর এই রাস্তার ভগ্ন দশা আর আমবাড়িয়া ব্রিজের ধীরগতির নির্মাণ কাজের জন্য অনেক দুর্ভোগ সহ্য করেছি। গ্রামের সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদিন বলেন, এই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই ব্রিজের নির্মাণাধীন কাজের জন্য কয়েক বছর ধরে হাটু পানি ও কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়েছে। সিএনজি এবং রিক্সা ও চলাচল করতে হয়েছে অনেক ঝুঁকি নিয়ে। কখনো কখনো তা ও চলতে পারতো না। অসুস্থ রোগীকে কাঁধে করেও পারাপার করতে হয়েছে। ব্রিজটির নির্মান কাজের ঠিকাদার এবং পৌর কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকেই সমানভাবে দায়ী করে জনগনের তীক্ত গালমন্দেরও অন্ত ছিলো না এই সড়কের দুর্ভোগের জন্য। অবশেষে গত কয়েকমাস আগে এই রাস্তাটি পূনঃটেন্ডার হবার পর চট্টগ্রামের সাখাওয়াত এন্টারপ্রাইজ সড়কের এর নির্মান কাজ করে দেয়। কিন্তু ব্রিজের ঠিকাদার অনেক আগে কাজ শুরু করলে ও মেয়রের সাথে ব্যক্তিগত রেসারেসি করেই কাজের ধীরগতির জন্য জনগন আরো বেশী কষ্ট করে দীর্ঘদিন। অবশেষে মেয়র রাস্তার ঠিকাদারকে দিয়ে দু’পাশে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্ত উক্ত কাজের মাত্র দুই মাস যেতে না যেতেই ব্রিজের দু’পাশে দেবে গেছে পুরো রাস্তা। এখন জনমনে আশঙ্কা সরকার এতো টাকা ব্যায় করে ব্রিজ-রাস্তা করে জনদুর্ভোগের লাঘবের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করলেও কয়েকজন মানুষের জন্য এ দুর্ভোগের কি অবসান হবে না?

এই বিষয়ে ঠিকাদার শাখাওয়াত বলেন, এই ব্রিজের দু’পাশের এপ্রোচ সড়ক আমার কাজ নয় তবুও জনস্বার্থে মেয়রের অনুরোধে নিজের পকেট থেকে বাড়তি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে করে দিয়েছি। এখন ব্রিজের ঠিকাদার যদি তার অবশিষ্ট দুপাশের বক্স ও প্রোটেকশানওয়াল না করে এর দায়িত্ব আমার নয়।

এই বিষয় মীরসরাই পৌর প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমার কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি মাত্র এই এলাকার দায়িত্ব গ্রহন করেছি, তবে শীঘ্রই এই ব্রিজের দুপাশের প্রোটেকশান কাজের ব্যবস্থাসহ রাস্তার টেকসই নির্মাণ নিশ্চিত করতে সকল উদ্যোগ গ্রহন করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ