টাঙ্গাইল জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ হাসান আলী রেজাকে হত্যার অভিযোগে শরীফ হোসাইন (৪০) নামে আরেকজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতাকৃত শরীফ হোসাইন টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়া মধ্যপাড়ার মকবুল হোসাইনের ছেলে।
টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) তানভীর আহমেদ জানান, এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে সোমবার রাতে শহরের সাবালিয়া মধ্যপাড়া থেকে শরীফ হোসাইনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ মনিরা সুলতানা তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অ্যাডভোকেট হাসান আলী রেজার হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেনÑ টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর এলাকার তপন কুমার সরকার ও তার স্ত্রী কল্পনা রানী এবং তাদের পুত্র তন্ময় কুমার। গত রোববার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরদিন গত সোমবার বিকেলে তাদের কোর্টে চালান করে দেয় পুলিশ। তাদের মধ্যে কল্পনা রানী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। আর পিতা-পুত্রকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত। সিনিয়র আইনজীবী হাসান আলী রেজার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে টাঙ্গাইলের আইনজীবীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যহত রেখেছেন।
হাসান আলী রেজা গত ৮ জুলাই সন্ধ্যার পর টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়া পাঞ্জাপাড়াস্থ নিজ বাসা থেকে চা খেতে বাইরে বের হয়ে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর গত ১৩ জুলাই দুপুরে লৌহজং নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার পর টাঙ্গাইল সদর থানায় মিয়া মোহাম্মদ হাসান আলীর রেজার ছেলে রাশেদুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।