বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা সরকার গঠন করে যে জায়গাটাতে নিয়ে আসতে পেরেছি সেখানে মূল শক্তিটাই ছিল আমাদের দেশের জনগণ ও তাদের সমর্থন। যে কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পেরেছে। তার জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে আমাদের দলকে শক্তিশালী করে জনমত সৃষ্টি করা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভা শুরু হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের একটা লক্ষ পূরণ করতে পেরেছি, কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে যে স্বীকৃতি পেয়েছি সেটাকে আমাদের ধরে রাখা আর এখানে রাজনৈতিক শক্তিটা খুব বেশী প্রয়োজন, সংগঠন প্রয়োজন, জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। আমি মনে করি, ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর এ পর্যন্ত যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে এবং আজকে বাংলাদেশে আমরা সরকার গঠন করে যে জায়গাটাতে নিয়ে আসতে পেরেছি সেখানে মূল শক্তিটাই ছিল আমাদের দেশের জনগণ ও তাদের সমর্থন এবং অবশ্যই মহান আল্লাহর একটা রহমত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পেরেছে। সেজন্য আমি মনে করি যে, একদিকে যেমন আমাদের সংগঠন দরকার শক্তিশালী করে গড়ে তোলা। পাশাপাশি আমরা যে জায়গাতে এসেছি, রাজনৈতিক দল হিসাবে আমাদের নিজেদের চিন্তা ভাবনা ছিল, পরিকল্পনা ছিল; সরকারে আসলে কি করব সব কিছু আমাদের একটা তৈরি করা ছিল বলেই কিন্তু আমরা সরকারে আসার পর পরে কাজগুলি করতে পেরেছি।’
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকে আমরা যেখানে এসেছি সেখান থেকে দেশকে আগামী দিনে কোথায় নিয়ে যাব? কতটুকু করব, সে পরিকল্পনাও আমাদের আছে। সেটা আমরা এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি। সেই প্রস্তুতিটা আমাদের নিতে জবে। সেই পথগুলো আমাদের ধাপে ধাপে অতিক্রম করতে হবে। তার জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে আমাদের দলকে শক্তিশালী করা। জনমত সৃষ্টি করার পাশাপাশি আমাদের চিন্তা চেতনাগুলোকে সমন্বিত করে আমরা প্রতি পদক্ষেপ যেন সুষ্ঠুভাবে করে এগিয়ে যেতে পারি। যেন আমাদের চলার পথে যত বাধাই আসুক অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
চলমান অতিবৃষ্টিসহ দেশের জনগণের কল্যাণে সব কিছুর দিকে সরকারের পক্ষ থেকে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও নেতাকর্মীদের আরও সজাগ ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বিএনপি শাসনামলে বন্যায় মানুষ নিহতের ঘটনা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কিন্তু মানুষকে অবহেলা করে রাষ্ট্র পরিচালনা করি না। আমরা মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে মানুষের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো আর মানুষের কল্যাণে এবং উন্নয়নে কাজ করা-এই নীতি নিয়ে আমরা কাজ করি বলেই আজকে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা এটাই চাই। আমাদের এই রাজনৈতিক দল যে দল এ দেশের জনগণের কথা বলার মধ্যদিয়ে গড়ে উঠেছিল, যে দলঠিকে সুসংগঠিত করে জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাব। মানুষের জীবনমান উন্নত হবে, এই বাংলাদেশে এজটি মানুষও দরিদ্র থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না, অশিক্ষার অন্ধকারে থাকবে না। এই দেশটা হবে সার্বিকভাবে একটা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব বড় বড় উন্নত দেশের মত উন্নয়ন হয়ত করতে পারব না। কিন্তু প্রতিটি মানুষেই তার জীবনটাকে অর্থবহ করবে, দারিদ্রের হাত থেকে তারা মুক্তি পাবে, তারা সুন্দরভাবে বাঁচতে পারবে। তাদের জীবনের যে লক্ষগুলি তা পূরণ করা অন্তত সেইভাবে আমাদের দেশটাকে গড়ে তুলতে চাই। এই বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার দেশ হিসাবে গড়ে উঠবে, যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।