Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরিষাবাড়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৯, ৪:৪৭ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি ৪)এর সাব-কম্পোনেন্ট মেইনটেন্যান্স কার্যক্রম বাস্তবায়নের নিমিত্ত ২০১৮-১৯ইং অর্থ বছরে নির্বাচিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত (মাইনর ক্যাটাগরি)-এর ব্যয় নির্বাহকল্পে বরাদ্দের ৪২০০০০০ লক্ষ টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজ শেষ করার আগেই বিল ছাড় করিয়েছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলা ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অবকাঠামো সংস্কার ও বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত কাজের জন্য চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি ৪)এর সাব-কম্পোনেন্ট মেইনটেন্যান্স কার্যক্রম বাস্তবায়নের নিমিত্ত ২০১৮-১৯ইং অর্থ বছরে নির্বাচিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত (মাইনর ক্যাটাগরি)-এর ব্যয় নির্বাহকল্পে বরাদ্দের ৪২০০০০০ লক্ষ টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাদ্দ দেয়া হয়। বিদ্যালয়ে প্রকল্পের এস্টিমেট অনুযায়ী উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন হওয়ার ছাড়পত্র দিলেই বরাদ্দকৃত টাকা প্রদান করবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্ত বিদ্যালয়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন না করেই ভুয়া বিল-ভাউচার জমা দিয়ে ওই বরাদ্দের টাকা শিক্ষা কর্মকর্তার হিসাব নম্বরে ছাড় করে নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা জানান, অনেক আগেই বরাদ্দের টাকা এসেছে, শিক্ষা কর্মকর্তার গড়িমসির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু করতে না পারায় ৩০ জুন এর মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। শিক্ষা কর্মকর্তার হিসাব নম্বরে টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি শিক্ষকেরা ভালো চোখে দেখছেন না। সময়ের কাজ সময়ে শেষ না হওয়ায় ডোয়াইল স.প্রা.বি, ছাতারিয়া স. প্রা. বি, সেঙ্গুয়া পূর্ব স.প্রা.বিদ্যালয়ের টাকা এখনও পাইনি।
সরিষাবাড়ী বালিকা স.প্রা.বিদ্যালয় ২ লক্ষ টাকা, চাপারকোনা স.প্রা.বি. ২ লক্ষ টাকা, মানজালিয়া স. প্রা.বি. ২ লক্ষ টাকা, ডোয়াইল স. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, পিংনা স. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, বাশুরিয়া স.প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, বড়সরা স.প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, সেঙ্গুয়া পূর্ব স. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, বনগ্রাম স.প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, চর আদ্রা স. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, ছাতারিয়া স. প্রা.বি.২ লক্ষ টাকা, উল্যাকুমারপাড়া স. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, ভাটারা স. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, ফুলদহ স. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, জয় নগর স. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, শুয়াকুরী স. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, চর আদ্রা দক্ষিণপাড়া বে. প্রা.বি.২ লক্ষ টাকা, আনিছুর রহমান বে. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, বাগমারা রেজিঃ বে. প্রা. বি.২ লক্ষ টাকা, খাগুরিয়া রেজিঃ বে. প্রা.বি.২ লক্ষ টাকা, চক হাটবাড়ী রেজিঃ বে. প্রা.বিদ্যালয় ২ লক্ষ টাকা ।
চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি ৪) এর বরাদ্দের টাকার বিল ও কাজ গত ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও বিদ্যালয় গুলোতে দেখা যায় ২০% কাজও করেনি। আবার এসব বরাদ্দের টাকা কর্মকর্তার একাউন্টে জমা রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রকল্প সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগসাজসে বরাদ্ধের সিংহভাগ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাগজ কলমে ১০০% কাজ দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সরে জমিনে গিয়ে এ ব্যাপারে বরাদ্ধকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রকল্প সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, টাকা পেতে বিলম্ব হওয়ায় আমরা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বড় বিপাকে পড়েছি। বিভিন্ন দোকান থেকে বাকি মালামাল নিয়েছি। তারা সব সময় তাগাদা দিচ্ছে অথচ টাকা দিতে পারছি না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঃ হালিম বলেন,বিভিন্ন কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ আদায় করতে ব্যর্থ হওয়ায় টাকা ফেরত যেন না যায়, তাই কিছুটা অনিয়মের আশ্রয় নিতে হয়েছে। আবার জুন ক্লোজিংয়ের কারণে টাকাগুলো তড়িঘড়ি করে বিল পাস করে আমার নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জামালপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ