পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি একটি কুচক্রীমহল ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ বলে একটি গুজব ছড়িয়েছে। ফলে সারাদেশের সাধারণ মানুষ কিছুটা বিভ্রান্তে পড়ে যায়। বিষয়টি ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে এই ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান প্রকল্প পরিচালক মো.শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ পরিচালনায় মানুষের মাথা লাগবে বলে একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা প্রকল্প কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এটি একটি গুজব। এর কোনো সত্যতা নেই। এমন অপপ্রচার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’ প্রকল্প পরিচালকের ন্যায় সচেতন নেটিজেনরাও এই গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অপপ্রচার ও গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানান।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দেয়া বিজ্ঞপ্তিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ পরিচালনায় মানুষের মাথা লাগবে বলে একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি একটি গুজব, এর কোনো সত্যতা নেই। এমন অপপ্রচার আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এসব গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। যারা দেশের মেগা প্রকল্প স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে মিথ্যা গুজব প্রচার করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকলের সার্বিক সহযোগীতায় এগিয়ে যাক দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃতাধীন বাংলাদেশ।’
‘প্লিজ, গুজব ছড়াবেন না। মনে প্রাণে চাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুটা দ্রুত হয়ে যাক। বদলে যাক দক্ষিণাঞ্চল। পুরো বিশ্ব দেখুক নতুন বাংলাদেশ। ’ - লিখেছেন নূরনবী সিদ্দিক সুইন।
বেসরকারি চাকুরিজীবি সাহিদ আফ্রিদি নোমান তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘কল্লা কাটা দারুন একটি অপপ্রচার ও গুজব - একবিংশ শতাব্দিতেও বিশ্বাস করতে হচ্ছে! এই অপপ্রচার ও গুজবে কেউ কান দিবেন না!’
‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু... ৮০% কাজ শেষ...... দয়া করে কেউ এর বাস্তবায়ন নিয়ে গুজব ছড়াবেন না..! যারা পদ্মা সেতুতে কল্লা লাগবে বলে গুজব ছড়াচ্ছে তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি- পদ্মা সেতুর সব গুলি পিলার কমপ্লিট এখন পিলারের উপরে স্টিলের স্প্যান বসানোর কাজ চলছে, মানুষের মাথার খুলী কি স্টিলের স্প্যানের সাথে ওয়েল্ডিং করে লাগাবে নাকি! মানুষ কতোটা নির্বোধ হলে এই সব গুজব বিশ্বাস করে?’ - হাবিবুর রহমান হাবিবের প্রশ্ন।
এদিকে, ২০১৫ সালে চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নদীতে পশুর রক্ত ঢেলে ভিত্তি স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছিলেন। এটাকে এই গুজব ছড়ার কারণ মনে করেন সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ। তিনি তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘পদ্মা সেতু মানুষের মাথা চায়- এটা সম্পূর্ণ গুজব। এই গুজবকে আবুল মাল মুহিতের ভাষায় রাবিশ বললেও কম বলা হয়। বহুদিন ধরেই থেমে থেমে এই গুজবটা ছড়ানো হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবেই যে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমার মনে হয়, শুরুতে চাইনিজদের করা এই অপকর্মের কারণেই গুজবটা ডালপালা বিস্তার করতে পেরেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাথী শুভ্র শাহা তার টুইটারে লিখেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এসব কথা বিশ্বাস করার কোন যৌক্তিকতা নেই। তাই সকলে এই গুজব ও যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।