বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলাদা দুটি হত্যা মামলার রায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে। গতকাল সকালে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম চাঞ্চল্যকর এই দুই হত্যা মামলার রায় প্রদান করেন। এরমধ্যে স্ত্রী কামরুন্নাহার তূর্না হত্যা মামলায় তার স্বামী আরিফুল হক রনিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী রনি পলাতক। অন্য মামলার রায়ে বাঞ্ছারামপুরের মোঃ রিপন মিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ আসামীকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। আশুগঞ্জের চরচারতলায় ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল তূর্না হত্যার ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে তূর্নার পিতা মফিজুল হক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় তূর্নার স্বামী রনিকে একমাত্র আসামী করা হয়। ২০১২ সালে রনির সঙ্গে বিয়ে হয় তূর্নার। মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এজন্যে বিভিন্ন সময় রনি তাকে মারধোর করতো। ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল তূর্নাকে হত্যা করে বাড়ির পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকিতে লাশ লুকিয়ে রাখে রনি। অন্যদিকে বাঞ্ছারামপুরের রূপসদী ইউনিয়নের পশ্চিম কান্দাপাড়ার মোঃ রিপন মিয়া খুন হন স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এই হত্যা মামলায় একই ইউনিয়নের বেলানগর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া, বাতেন মিয়ার ছেলে মোঃ কবির মিয়া ও কাজী মোস্তফার ছেলে মোঃ হাবিব মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। এই হত্যা মামলার আসামী রিপনের স্ত্রী আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়। আমেনা বেগমের পরকীয়া প্রেমে জড়িত থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাসে আসামীরা রিপনকে হত্যা করে লাশ মাটির নিচে পুতে রাখে। এ হত্যা ঘটনায় রিপনের ভাই বারু মিয়া রিপনের স্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে আসামী শিপন, কবির ও হাবিব পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।