বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহে নিজ যোগ্যতায় ২৫৭, রাঙামাটিতে ৯৩ ও ভোলায় ২০৩ জন কনস্টেবল পদে চাকরি দিয়ে দৃৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পুলিশ সুপার। কোন প্রকার অর্থ লেনদেন ছাড়াই স্বচ্ছতার মাধ্যমে শতভাগ মেধাবীদের পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রদান করায় মুগ্ধ অভিভাবকরা। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ প্রতিবেদন :
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানান, অভাব-অনটনের সংসারে ওরা বড় হয়েছে। জীবনে চ‚ড়ান্ত সফলতা হিসেবে পেয়েছে সরকারি চাকরি। তাও আবার ঘুষ ছাড়াই পুলিশ কনস্টেবল পদে। স্বভাবতই ওদের আনন্দ বাঁধ ভেঙেছে। সীমাহীন আনন্দে মাতোয়ারা ময়মনসিংহের ২৫৭ তরুণ-তরুণী দেশের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার অঙ্গীকার করেছেন।
স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাকরি হওয়ায় তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইজিপি ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এসব মেধাবী তরুণ-তরুণীরা বলছেন, পুলিশ কনস্টেবল নিয়ে মুখরোচক কাহিনীর অন্ত নেই। সবার মাঝেই প্রশ্ন ছিল ঘুষ ছাড়া চাকরি আদৌ কী সম্ভব? প্রতিবার দালাল শ্রেণি ফায়দা লুটলেও এবার দেশের নানা প্রান্তে কঠোর অভিযানে ময়মনসিংহে তাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
ফলে দালাল শ্রেণির সঙ্গে লেনদেনে গিয়ে কেউ সর্বশ্বান্ত হয়েছেন এমন খবর মেলেনি। স্বচ্ছতার সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পেরে তুষ্ট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন।
ইনকিলাবের সঙ্গে আলাপকালে এসপি আবিদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাননীয় আইজিপি মহোদয় আমাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখার। আমরা সেই কাজটি সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।’ গত সোমবার রাত ৮ টায় ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চ‚ড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন। এ ফলাফলে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতায় ২৫৭ জন প্রার্থী মাত্র ১০০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি থেকে জানান, প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মো. জাবেদ পাটোয়ারী-পিপিএম। তারই অত্যন্ত কঠোর নির্দেশনানুসারে মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষনিক মনিটরিং টিমের উপস্থিতিতে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে এবারই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক ৯৩ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে, জানিয়েছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর। এর আগে রাঙামাটির ইতিহাসে এত প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে রাঙামাটির সকল স্তরের গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, মাদকমুক্ত মেধাবী ও সুঠাম দেহের অধিকারি প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৮৩টি পদসহ আমরা এবার মোট ৯৩ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। ডোপ টেষ্টের মাধ্যমেই এসব চাকুরি প্রার্থীকে পদায়ন করা হবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর কামাল, এএসপি রণজিৎ কুমার পালিত, রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক রনি, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক সত্যজিৎ বড়–য়া।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ১০৩ টাকায় ২০৩ কনস্টেবল পদে চাকরি দিয়ে দৃৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভোলায় সদ্য যোগদানকারী পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। জানা গেছে, গত ২ জুলাই পুলিশ সুপারের সভাপতিত্বে সততার সাথে সকলের সহযোগিতায় শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার সাথে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ কার্যক্রম লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এতে সাধারণ (পুরুষ) ১২৭ জন, সাধারণ (নারী) ৪৫ জন, মুক্তিযোদ্ধা (পুরুষ) ২৪ জন, মুক্তিযোদ্ধা (নারী) ৪ জন, পোষ্য ২ জন, আনসার ১জনসহ সর্ব মোট ২০৩ জন পরীক্ষায় কৃতকার্যদের চ‚ড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার ইনকিলাব সংবাদদাতাকে বলেন, ভোলা জেলা পুলিশ কর্তৃক ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান আইজিপি মহোদয় এর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী শতভাগ সততার সাথে শতভাগ মেধা ভিত্তিক, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার সাথে ২০৩ টি পরিবারকে বিনা টাকায় চাকরি দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবার সন্তান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।