পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
রাজধানীতে ভোরের আধো ফোটা আলোকে সঙ্গী করেই দিনক্ষেপন শুরু। এই গাড়ি নাহয় অন্য গাড়ি; যাতায়াতে পাবলিক যানবাহন তো সকলেরই নিত্যসঙ্গী। বাস, লেগুনা, অটোরিকশা, সিএনজি, মিনিট্রাকই মাধ্যম; আমাদের যাতায়াতের। গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে; লক্ষ্য এটাই এবং একটাই! হোক সেটা তুমুল প্রতিযোগিতা শেষে গাড়িতে উঠে, সিটে বসে অথবা ঝুলে ঝুলে। তবে যাতায়াতের ক্ষেত্রে একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখা যায়; যাত্রীদের উঠাতে বা নামাতে খুবই তাড়া বাস হেলপারদের। খুব দ্রæত উঠাতে পারলে বা নামাতে পারলেই যেন তাদের স্বস্তি। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। বাসে দ্রæত উঠতে উঠতে হঠাৎ করেই পরে যেতে পারে কেউ। বাস থেকে দ্রæত নেমে যেতে যেতে ভারসাম্য হারিয়ে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা; পিচঢালা রাস্তায় পিছলে যেতে পারে পা অথবা পিষে যেতে পারে অন্য গাড়ির নিচে।
‘সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি’ কথাটা মুখে যতটা প্রকটভাবে বলতে শোনা যায় বাস্তবে তা খুব কম চোখে পড়ে। অন্তত রাজধানীতে বাস্তবায়ন ভাবাই কঠিন। জীবন একটাই; অনেক ছোট। অসচেতনতায় আর একটু অবহেলায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সেটাকে আরও ছোট করা কেনো? পরিবহন শ্রমিকদের উচিৎ যাত্রীদের উঠা-নামার ব্যাপারটা খেয়াল করা। নামতে বা উঠতে একটু সময় দেয়া। তাহলে দুর্ঘটনা কমে যাবে অনেকগুণে। চলুন, আমরাও বাস হেলপারদেরকে সচেতন করি; সকলেই যাতায়াতে সচেতন হই; অসেচতনতায় প্রাণ না হারাই।
মিতা কলমদার
লোকপ্রশাসন বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।