নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারতই তাহলে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের প্রিয় প্রতিপক্ষ! একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনটি সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কান মিডলঅর্ডারের, তিনটিই ভারতের বিপক্ষে। যার সর্বশেষটি এসেছে গতকাল বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে।
লিডসের হেডিংলি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ম্যাথিউসের ব্যাটেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় শুরুতে ধ্বসে পড়া শ্রীলঙ্কা। ৫৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দিমুথ করুনারতে্নর দল শেষ পর্যন্ত গড়ে ৭ উইকেটে ২৬৪ রানের সংগ্রহ। এবারের আসরে আড়াইশোর্ধো রান তাড়া করে জিতেছে কেবল একটি দল। ৩২১ রান তাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এমন পরিসংখ্যান থেকে প্রেরণা পাচ্ছে কই লঙ্কানরা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যে কোনো উইকেট না হারিয়েই ২০ ওভারে ১০৯ রান তুলে ফেলেছ ভারতের রোহিত শর্মা (৬৬) ও লোকেশ রাহুলের (৪২) ওপেনিং জুটি।
জিততে পারলে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার সুযোগ থাকত ভারতের। সেক্ষেত্রে একই দিনে দিবা/রাত্রির ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারতে হত অস্ট্রেলিয়াকে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অজিদের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয়ার পথে ছিল ফাফ ডু প্লেসিস বাহিনী। প্রোটিয়াদের তখন সংগ্রহ ছিল ৩৭ ওভারে ২ উইকেটে ২২৭। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন ডু প্লেসিস (৮৬)।
ভারতীয় একাদশে এদিন জায়গা পাননি ৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট পাওয়া মোহাম্মাদ শামি। তার পরিবর্তে যার উপর আস্থা রাখা হয়েছিল সেই ভুবনেশ্বর ছিলেন খরুচে (১/৭৩)। তবে অপর প্রান্তে জাসপ্রিত বুমরাহ এদিনও ছিলেন রূদ্রমূর্তিতে। দুই ওপেনার করুনারতে্ন ও কুসল পেরেরাকে মাহেন্দ্রসিং ধোনির হাতে ক্যাচ বানান এই পেসার। প্রথমবারের মত টুর্নামেন্টর একাদশে সুযোগ পাওয়া রবীন্দ্র জাদেজা নিজের প্রথম ওভারেই কুসল মেন্ডিসকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন। এরপরই ক্রিসে আসেন ম্যাথিউস। এসেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অভিষিকা ফার্নান্ডোকেও হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ধোনির হাতে ধরা পড়তে দেখেন তিনি। স্কোরবোর্ড তখন ৪ উইকেটে ৫৪।
এরপরই লাহিরু থিরিমান্নেকে নিয়ে ম্যাথিউস গড়েন ১২৪ রানের জুটি। থিরিমান্নে ফিফটি করে ফিরলেও দনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৭৪ রানের জুটির পথে ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি করেন ম্যাথিউস। ৪৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে সাবেক অধিনায়ক তার ১২৮ বলে ১১৩ রানের ইনিংসটি সাজান ১০ চার ও ২ ছক্কায়। দনাঞ্জয়া শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকেও ঝড় তুলতে পারেননি, করেছেন ৩৬ বলে ২৯। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে শেষ দশ ওভারে লঙ্কানরা তুলতে পারে ৬২ রান। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার বুমরাহ। বাকি চার বোলরও পেয়েছেন একটি করে উইকেটের দেখা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্লো হয়ে আসছিল পিচ। তবে রোহিত-রাহুলের ব্যাটিং দেখ তা বোঝার উপায় ছিল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।