বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রমা জেনারেল হাসপাতালে ওয়ার্ড বয়ের দেয়া অ্যানেস্থেসিয়ায় জুয়েল নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। জুয়েলের বাড়ি শহরের চন্ডিবের গ্রামে। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।
এ ঘটনায় ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার কামরুজ্জামান আজাদকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত ডাক্তার কামরুজ্জামান আজাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসক। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, হাতের হাড় ভাঙার রড স্ক্রু খুলতে আসা রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তার কামরুজ্জামান আজাদের নেতৃত্বে চিকিৎসার প্রস্তুতিকালে গৌরাঙ্গ রায় নামে এক ওয়ার্ডবয় নিজেই অ্যানেস্থিসিয়া দেয়। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে ডাক্তার কামরুজ্জমান আজাদের নির্দেশে সহযোগী ডাক্তার ইমরান ঘুমের ইনজেকশন পুশ করলে রোগী মুত্যৃর কোলে ঢলে পড়ে। অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ডাক্তার কামরুজ্জামান আজাদ অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ না হয়েও দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রমা হাসপাতালের সাইনবোর্ডে ও প্রচারণার লিফলেটে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসার মাধ্যমে সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। আরো জানা যায়, ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার কামরুজ্জামান আজাদসহ ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার হরিপদ দেবনাথ, দিদারুল আলম ও স্থানীয় প্রভাবশালী ২ ব্যক্তি হাসপাতালটির মালিকানায় রয়েছেন।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. আনিসুজ্জামান পরিদর্শনে আসেন। একইসাথে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ডা. কামরুজ্জামান আজাদকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভৈরব থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুল চিকিৎসার অভিযোগে চিকিৎসক কামরুজ্জামান আজাদকে আটক করা হয়ছে। হাসপাতালের মালিক ও ডাক্তারসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের ভাই কামাল মিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।